নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেছেন- ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি রোববার দুপুরে
সিলেটে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত মাঠ পর্যায়ের আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। মাহবুব তালুকদার বলেন- যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন- ‘দেশব্যাপী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। সেনাবাহিনী আমাদের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। আমি মনে করি অতীতের সংসদ নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়েন এর মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সর্বোত্তম ব্যবহার আবশ্যক।
এবারের জাতীয় নির্বাচন সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ সমগ্র জাতীর আস্থার সংকট মোচন করেছে।’
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনী দায়িত্ব যারা পালন করবেন তাদের কাছে পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনো আশাকরি না। আমরা কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে আসিনি। সকল প্রার্থী আমাদের কাছে এক ও অভিন্ন। তাদের প্রতি আচরণে আপনাদের ভূমিকা হবে বিচারকের মত নির্মম। তাই কঠোরভাবে নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা রাখি।’ মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে অতি গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র আসনে যারা বসবেন, তারা ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে আসবেন এটাই হবে প্রত্যাশা। পেশিশক্তি বা কালো টাকার মাধ্যমে কেউ যেন সেই আসনে বসতে না পারে। আমাদের স্বাধীনতার পূর্বশর্ত যদি হয়ে থাকে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত হয়ে থাকে নির্বাচন তাহলে এই নির্বাচনকে অবশ্যই স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হতে হবে।’ ডিসেম্বর বিজয়ের মাস উল্লেখ করে তিনি বলে, এটা বিজয়ের মাস ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শর্ত নিয়ে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর একটি গণনযোগ্য নির্বাচন আমরা করতে পারবো না তা কখনো হতে পারে না। আমাদের দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা অনেক বড়। তাই আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখার এই নির্বাচনে আমরা অবশ্যই সফল হবো। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি শুদ্ধ, গণনযোগ্য নির্বাচন করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ঋণ শোধ করি।’