একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ঢাকা বিভাগের মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনে ঢাকা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারও পক্ষ না নিয়ে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ যাতে আনন্দের সঙ্গে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ তৈরি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অস্ত্র, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে পর্যাপ্ত চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের অভিযান বৃদ্ধি করার কথাও বলেন তিনি। একইসঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখতে বলেন।
বৈঠক শেষে ইসি শাহাদাত বলেন, আদালতের নির্দেশে জামায়াতের প্রার্থিতার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বিএনপির পুনঃতফসিলের দাবি বিষয়েও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নানা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে কয়েকজন ইউএনও বলেছেন, নির্বাচনের দিন ভোটাররা আদৌ ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। কয়েকজন ওসি বলেছেন, নির্বাচনের দিন একটি পক্ষ সংঘাত-সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের কথা বলে মাঠ কর্মকর্তাদের আশান্বিত করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও ঢাকা মহানগরীর রিটার্নিং কর্মকর্তা কেএম আলী আজম, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের সকল ডিসি-এসপি, সকল থানার ওসি-ইউএনও এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং সহযোগিতা করে ঢাকা জেলা প্রশাসন।