× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একাই হাঁটছেন তাজ, খালেক স্থির নিজ বাড়িতে

এক্সক্লুসিভ

জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মহাজোট প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। আর নিজবাড়ির চৌহদ্দি পেরুতে পারছেন না বিএনপি প্রার্থী আবদুল খালেক। মোট ৬ প্রার্থীর মধ্যে অন্য চার প্রার্থীও আছেন চাপে। তাদের প্রচার-প্রচারণাতেও আছে বাধা। এই হাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) নির্বাচনী এলাকার। ভোটের মাঠে পা রাখার পরপরই পাততাড়ি গুটাতে হয়েছে আবদুল খালেককে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান জানিয়েছেন-তাদের প্রার্থী তেজখালী ইউনিয়নের বাড়াইল চর নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তিনি জানান- বাঞ্ছারামপুরের অবস্থা খুবই খারাপ।
চলাচলের খুব সমস্যা তাদের। বিভিন্ন গ্রাম থেকে  নেতাকর্মীদের সব ধরে নিয়ে এসেছে। মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রার্থী ছাড়া এই আসনের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হচ্ছেন- জাতীয় পার্টির জেসমিন নূর বেবী (লাঙ্গল), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সৈয়দ মো. জামাল (কাস্তে ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র কেএম জাবির (তারা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রেজুয়ান ইসলাম খান (হাতপাখা)। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সৈয়দ মো. জামাল জানান তিনিও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। পোস্টার-ব্যানার নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। মাইকিংয়ে বাধা দেয়া হচ্ছে।

ওদিকে মনোনয়ন লড়াইয়ের বিভেদ ঘুচিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন বিমুখ কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সায়েদ আহমেদ বাবু একত্রে কাজ করছেন তাজের সঙ্গে। সে কারণে হৈ হৈ রৈ রৈ অবস্থা এখানে আওয়ামী লীগের।  প্রতিদিন ৭/৮টি সমাবেশ হচ্ছে তাদের। আর বিএনপি’র কোনো পোস্টার-ব্যানারই নেই । প্রথম শো-ডাউনের দিনই হামলার শিকার হয় বিএনপি। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে- ১৪ই ডিসেম্বর বিএনপি প্রার্থী আবদুল খালেক প্রথম এলাকায় আসেন। তাকে বরণ করতে কড়ুইকান্দি ফেরিঘাটে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন হাজারো নেতাকর্মী। সেখানে মিছিল নিয়ে যাওয়া কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। ওই শো-ডাউনের সময় প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পাওয়া অন্য তিন নেতা রফিক সিকদার, মেহেদী হাসান পলাশ ও এডভোকেট জিয়া আবদুল খালেকের সঙ্গে ছিলেন। পরদিন দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে বিএনপি’র একটি নির্বাচনী সভায় বাধা দিলে যুবলীগ নেতা এলাহীকে মারধর করে বিএনপি’র লোকজন। এ ঘটনায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দেয়া হয়।

এই মামলার আসামি যাদের করা হয়েছে তারা সবাই বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতাকর্মী। এই ঘটনার পরই মাঠছাড়া হয় পুরোপুরি বিএনপি। এর আগে বিএনপি’র ৩০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসব কারণে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করারও হিড়িক পড়ে সেখানে। বিএনপি প্রার্থী আবদুল খালেক বলেন- যেখানে যাই সেখানেই আমাদের ওপর হামলা হয়। গ্রামে গ্রামে পুলিশ গিয়ে হুমকি দেয়। কাজ করা ডিফিকাল্ট হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে তার প্রচারণা বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। মাঠে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তার লাইফও রিস্কের মধ্যে রয়েছে। তবে মাঠে নামবেন বলে জানান বিএনপি’র এই প্রার্থী। আবদুল খালেক বলেন- বিএনপি’র পক্ষে জনগণের অভাব নেই। শতকারা ৮০ ভাগ লোকই বিএনপি’র পক্ষে। তিনি প্রশাসনের কোনো হেল্প পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাগিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি। তিনি বলেন বিএনপি-ই তাদের উপর উল্টো হামলা করছে।  বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন আর ১ পৌরসভা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ নির্বাচনী এলাকা। মোট ভোটার ২ লাখ ১৭ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯৩ আর নারী ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৫১৬ জন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯১ ভোটকেন্দ্রের ৪৩৬টি ভোটকক্ষে ভোট দেবেন এই ভোটাররা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর