কোনো রক্তচক্ষুর পরোয়া না করে নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে অটল থাকতে আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার ইসলামী আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে এ আহ্বান জানান। সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এটিএম হেমায়েতউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বরিশাল-৫, খুলনা-৩, সিরাজগঞ্জ-১, ঝিনাইদহ-৪, মাদারীপুর-২, কুমিল্লা-৬, নোয়াখালী-৪, ঢাকা-৫, পিরোজপুর-২, লালমনিরহাট-১, সাতক্ষীরা-২ ও বরগুনা-২ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের বদলে এক ধরনের ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃৃষ্টি হয়েছে বলেও সিইসিকে অবহিত করেন তারা। তিনি বলেন, হাতপাখার প্রার্থী ও কর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে হাতপাখার এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে। নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু ইসলামী আন্দোলন নয়, অন্য দলগুলোর ওপরও ক্ষমতাসীনরা এরকম হামলা করছে। ঢাকা-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জামায়াতের কর্মী হিসেবে হামলা ও নাশকতার মামলায় আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে দলটি। এসব ঘটনার কথা উল্লেখ করে কমিশনকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি নির্দিষ্ট দলের মানুষ ছাড়া কারো মধ্যে স্বস্তি নেই বলেও সিইসিকে অভিযোগ জানায় ইসলামী আন্দোলন। এটিএম হেমায়েতউল্লাহ বলেন, কোথাও জননিরাপত্তা নেই। ৩০শে ডিসেম্বর ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কিনা- এমন সংশয়ও আছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সিইসিকে অনুরোধ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি, দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ ও সুফল ফিরিয়ে দিতে নীতিগত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রথাগত রাজনীতিকে সুস্থ করতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।