ভারতের দীর্ঘতম রেল-রোড সেতু আজ মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে। আসাম রাজ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর তৈরি ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫৯০০ কোটি রুপি ব্যায়ে তৈরি এই দ্বিতল সেতুটি আশা করা হচ্ছে ১২০ বছর পর্যন্ত অটুট থাকবে। এই সেতুটি চালু হবার ফলে আসামের তিনশুকিয়া থেকে অরুণাচল প্রদেশের নাহারলাগুন শহরের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২১ বছর প্রতীক্ষার পর সেখানকার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়ঙ্কর ব্রহ্মপুত্র নদের উপর এই সেতু তৈরি করাটা খুব সহজ ছিল না। ১৯৯৭ সালে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। সমীক্ষা, মাপজোঁক, ব্রিজ তৈরি সম্ভব কিনা, সেসব খতিয়ে দেখতেই পাঁচ বছর কেটে যায়।
রেল সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর ২০০২ সালে নির্মাণ কাজের সূচনা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। দীর্ঘ ২১ বছরে ধীরে ধীরে ব্রহ্মপুত্রের বুক চিরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বগিবিল সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে সপ্তাহে ৫দিন চলবে তিনশুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ফলে দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১০ ঘণ্টা কমে যাবে বলে মনে করছেন রেল আধিকারীরা। ৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ এই সেতু তৈরি করাটা পুরোটাই চ্যালেঞ্জের ছিল। প্রত্যেক বছর ভয়ঙ্কর জলস্রোত আর বন্যা রীতিমত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল।