সত্য ঘটনা যখন মানুষকে জানানো হয়, তখন সেটা ‘প্রচার’। অসত্য যখন সত্য হিসেবে মানুষকে জানানো বা বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করা হয়,তখন সেটা ‘প্রপাগান্ডা’। টেলিভিশনের পর্দায় আপনারা ‘প্রপাগান্ডা’ ও ‘প্রচার’ দেখছেন। নিশ্চিত করেই জানি,প্রচার এবং প্রপাগান্ডার পার্থক্য নির্ণয় করতে আপনাদের একটুও কষ্ট হচ্ছে না।
কারো প্রপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হয়ে আপনার দায়িত্ব ভোট গ্রহণ শুরুর সকালে ভোট কেন্দ্রে হাজির হওয়া।নিজের ভোট নিজে দেওয়া, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দেওয়া।নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থেকে, ভোট দিন। যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিন।আবারও বলছি ভোট দিন। প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বলা হচ্ছে, ভোট দিয়ে লাভ নেই, কারণ ফলাফল নির্ধারিত। না,একথা বিশ্বাস করবেন না।এটা আপনার মনোবল ভেঙে দেওয়ার প্রপাগান্ডা।এই প্রপাগান্ডা বিশ্বাস করে যদি ভোট দিতে না যান, তবে আপনার ভোট দিয়ে দিবে প্রপাগান্ডাবাজরা। কাওকে এই সুযোগ দিবেন না।
যদি দেখেন আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, ভোট কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান,আমার ভোট কে দিল, কেন দিল? সন্তোষজনক জবাব না পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আনুন বিষয়টি।আপনি সচেতন নাগরিক, নাগরিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন।
ভোট কেন্দ্রে যান, সকাল সকাল যান,ভোট দিন, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। এটা ভাববেন না যে, আমার একটি ভোট না দিলে আর কি হবে!
না দিলে কি হবে সে হিসেব না করে, এভাবে হিসেব করেন যে, ভোট দিলে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা আপনার দায়িত্ব।
ফেসবুক থেকে নেয়া