পশ্চিমবঙ্গে একঝাঁক অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে টিকিট দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চমকে দিয়েছিলেন। এবার সেই পথেই বিজেপিও আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে টিকিট দেবার প্রস্তুতি শুরু করেছে। তারই প্রথম ধাপ হল সাবেক অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে দলে নিয়ে আসা। কয়েকদিন আগেই বিজেপির দুই নেতা মুম্বাই গিয়ে মৌসুমীর সঙ্গে কথা বলে এসেছিলেন। আর বুধবারই দিল্লিতে এসে রাজনীতির দ্বিতীয় পর্যায়ে মৌসুমী কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির হাত ধরলেন। পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অভিনেত্রীকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে বাংলায় কোনও গুরু দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও করা হতে পারে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার বিষয়ে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন মৌসুমী। রাজনীতিতে মৌসুমীর পদার্পণ এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৪ সালে কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। সেবার কলকাতা উত্তর-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিমের কাছে পরাজিত হয়ে রাজনীতিতে চুপ করেছিলেন তিনি। রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে।তবে তিনি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ’য়সী প্রশংসা করেছিলেন তাতে মনে করা হয়েছিল, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যে২াগ দিতে পারেন। কিন্তু না মেষপর্যন্ত বিজেপিতেই নাম লিখিয়েছেন। হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর জন্ম কলকাতাতে, ১৯৪৬ সালের ২৬ এপ্রিল। ১৯৬৭ সালে বাংলা চলচ্চিত্র ’বালিকা বধূ’ দিয়েই তার অবিনয় জীবনের শুরু। এরপর ১৯৭২ সালে শক্তি সামন্তের হাত ধরে হিন্দি চলচ্চিত্রে অবিনয় করেন তিনি। তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র হল, ’অনুরাগ’। এছাড়া ’রোটি কাপড়া আউর মকান’, ’বেনাম’ ও ’মঞ্জিলে’র মত ছবিতে অভিনয় করেছেন। হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন।