× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার খেয়েও ক্যামেরা সরাননি নারী সাংবাদিক

রকমারি


৪ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

চারপাশে তখন বিক্ষোভকারীদের তুলকালাম তাণ্ডব চলছে। তার মধ্যে দিয়েই ক্যামেরা কাঁধে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এ ধার ও ধার। আর প্রতিটি মুহূর্তকে তিনি চটপট ক্যামেরাবন্দি করছেন।

বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচলেন না তিনিও। কিল-চড়-ঘুসি আছড়ে পড়ল তাঁর উপর। সঙ্গে চলল চরম হেনস্থাও। ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। কিন্তু কাঁধ থেকে ক্যামেরা সরাননি।
এমনকি বিক্ষোভকারীরাও তাঁর জেদের সামনে হার স্বীকার করতে বাধ্য হন। শত হেনস্থা সয়েও নিজের কর্তব্যে কিন্তু অবিচল থেকেছেন শাজিলা আব্দুল রহমান।

কেরলের কৈরালি টিভি চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিক শাজিলা। তুঁতে রঙের সালোয়ার পরা, ডান কাঁধে ক্যামেরা, লেন্সে চোখ স্থির রেখে ছবি তুলছেন— এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়। শাজিলার সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁর কর্তব্যে অবিচল থাকা এবং তাঁর সাহসিকাতার বিপুল প্রংশসা আছড়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শবরীমালা নিয়ে কেরলের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব চলছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য।হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল রাজ্যে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে সংবাদমাধ্যমও বাদ যায়নি বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব থেকে। কিন্তু শাজিলা সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে যেন পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থেকে নিজের কাজটাই করে গিয়েছেন!

শবরীমালা মন্দিরে দুই মহিলার প্রবেশের পরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেরলে। বিক্ষোভ চলছিল তিরুঅনন্তপুরমেও। সেই তাণ্ডবের ছবিই তুলতে গিয়েছিলেন চিত্র সাংবাদিক শাজিলা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেও তিনি সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি  করছিলেন। তাঁর উপর নজর পড়তেই রে-রে করে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা। মারধর তো বটেই, চলে হেনস্থাও। ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। সেই অবস্থাতেই ছবি তুলে গিয়েছেন। তবে তাঁর ঘাড়ে, পিঠে আঘাত লেগেছে বলে সূত্রের খবর।

এর আগে মহিলা সাংবাদিকরা শবরীমালায় ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে পিছু হাঁটতে হয়েছিল তাঁদের। তবে শাজিলা বিক্ষোভকারীদের রক্তচক্ষুকেও যেন তাঁর কর্তব্যের কাছে নতিস্বীকার করিয়ে ছেড়েছেন। চার দিকে এখন তাঁকে নিয়েই আলোচনা, তাঁর সাহসিকতার প্রশংসার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে!

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর