× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাবিতে ছাত্রীকে জিম্মি করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

শিক্ষাঙ্গন

রাবি প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ১২, ২০১৯, শনিবার, ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বহিরাগত এক ছাত্রীকে আটকে রেখে তিন হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বহিরাগত দুই ছাত্রী ক্যাম্পাসে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসলে একজনকে আটকে রেখে ছাত্রলীগ পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে তিন যুবক, এমন অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ওই দুই ছাত্রী রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তবে যুবকদের পরিচয় জানা যায়নি।

ওই দুই ছাত্রীর বন্ধু আলিফ জানান, তার দুই বান্ধবী গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় দেখা করার জন্য ক্যাম্পাসে আসে। পরে সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পরিচয়ে তিন যুবক তার বান্ধবীদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের পেছনে নিয়ে যায়। তারা এক হাজার টাকার নিয়ে একজনকে ছেড়ে দেয়। এ সময় আটকে রাখা আরেক বান্ধবীর ফোন থেকে বিভাষকে নামে এক বন্ধুকে ফোন করা হয় এবং তিন হাজার টাকা দিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে যেতে বলে।
পরে বিভাষ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানায়। পুলিশ যেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে মেয়েটির অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যান। তবে পুলিশ ওই যুবকদেরকে আটক না করে তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ করেন বিভাষ।

বিষয়টি জানার পর রাতেই সাংবাদিকরা ফাঁড়িতে যান। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফাঁড়িতে আসেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তারা ফাঁড়ির পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। চলে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেছি। ছাত্রলীগ পরিচয়ে টাকা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।

মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনাস্থলে যেয়ে আমরা মেয়েটিকে একাই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। কারা তাকে আটকে রেখেছে জিজ্ঞাসা করলে ওই যুবকগুলো চলে গেছে বলে মেয়েটি জানায়। পরে মেয়েটিকে আমরা ফাঁড়িতে নিয়ে এসে তার অভিভাবককে খবর দেই। পরে তার অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যান। এ ঘটনায় কেউ মামলা বা অভিযোগ করেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর