× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিশ্চিত খুন হওয়া থেকে বাঁচলো কলেজছাত্র সাকিব!

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেঘোরে ফেলে রাখা হয়েছিল তিনদিন আগে অপহৃত কলেজছাত্র সাদেক ছোবহান সাকিব (১৭)কে। মুক্তিপণ না পাওয়ায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে খুনের প্রস্তুতি নিয়েছিল অপহরণকারী খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জয় ও তার সহযোগীরা।

কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার বটতলী এলাকায় এমকে শপিং সেন্টার নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় আবাসিক হোটেলের ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় সাকিবকে। গ্রেপ্তার করা হয় এ ঘটনায় জড়িত জয়ের সহযোগী মো. হোসেনকে (৩০)।

তার দেয়া তথ্যমতে, সোমবার রাতেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুনের পরিকল্পনা করা হয় সাকিবকে। সে মতে নিশ্চিত খুনের হাত থেকে বেঁচে গেল সাকিব। এ সময় হোসেনের কাছ থেকে একটি খেলনা রিভলবার, দু’টি চাকু এবং ৩০টি চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

 গ্রেপ্তার হওয়া হোসেনের তথ্যমতে, পারিবারিক শত্রুতাকে পুঁজি করে সাকিবকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় ও মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জয়কে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি/ডিবি-পশ্চিম) মইনুল ইসলাম।

তিনি জানান, সাকিব বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামপাস চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায়।
গত ১০ই ডিসেম্বর বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে চন্দনাইশের ঠাকুরদিঘি এলাকায় সাকিবকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তার খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জয় ও তার সহযোগীরা।

এরপর তাকে লোহাগাড়া থানার বটতলী এলাকায় এমকে শপিং সেন্টার নামে ভবনের তৃতীয় তলায় একটি আবাসিক হোটেলের ৩০৪ নম্বর কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর কৌশলে সাকিবের বাবার কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।

সাকিবের বাবা নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হলে ডিবি পুলিশ সাকিবকে দ্রুত উদ্ধারে নামে। মুক্তিপণ দাবির সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ সাকিবকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। এ সময় ওই  কক্ষে জিম্মি অবস্থায় বেঘোরে থাকা সাকিবকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত মো. হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সাকিবকে খুনের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া যায়।

তবে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জয়কে গ্রেপ্তারে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মইনুল ইসলাম। এ ঘটনায় অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর