× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটের শুনানি আজ

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটের শুনানি হবে আজ। রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গতকাল উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন। বেলা দুইটায় শুনানি শুরু হতে পারে।

রিট আবেদনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমপিদের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ, শপথের আহ্বান জানানো এবং শপথের প্রজ্ঞাপন কেন অসাংবিধানিক এবং আইনগত কৃর্তত্ববহির্ভূত হবে না তার কারণ জানাতে রুল জারির আর্জি রয়েছে। একইসঙ্গে রুল বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন ডাকা থেকে এবং এমপিদের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিবাদী করা হয়েছে স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সংসদ সচিকে।

দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ নেয়া অসাংবিধানিক ও বেআইনি দাবি করে গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রিট আবেদনকারী হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম (তৌহিদ)। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

এর আগে গত ৮ই জানুয়ারি একাদশ সংসদের এমপিদের শপথ গ্রহণের প্রজ্ঞাপন বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেন রিট আবেদনকারী। কিন্তু বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে এমপিদের শপথের প্রজ্ঞাপন বাতিল বা প্রত্যাহার না হওয়ায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।

রিট আবেদনের ১৬টি যুক্তি দেয়া হয়েছে। যুক্তিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে এটা স্পষ্ট যে যারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন তারা দশম সংসদের মেয়াদ অবসানের আগে এমপি পদে আসীন হতে পারেন না। কারণ, দশম জাতীয় সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৮শে জানুয়ারি। মেয়াদ অবসানের আগেই সংবিধানের ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের শপথ গ্রহণ ১২৩(৩) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত।

সংবিধানের ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদে কোনো অস্পষ্টতা নেই। এ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তারা যেদিন শপথ নিবেন সেদিন থেকে পদে বহাল হবেন। ফলে ৩রা জানুয়ারি তারা এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন অথচ তারা ইতিমধ্যে ওই পদে বহাল রয়েছেন। এটা ১২৩(৩) অনুচ্ছেদের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।

তাদের শপথ গ্রহণ করে এমপি পদে আসীন হওয়া অসাংবিধানিক ও বেআইনি।
শুধু তাই নয় তাদের সমর্থনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি একজনকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। যে কারণে এমপিদের পদ সংবিধান পরিপন্থি হবে সে একই কারণে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও সরকার গঠন আইনের দৃষ্টিতে বাতিলযোগ্য। সংবিধানের ১২৩(৩) ও ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদের আলোকে শপথ অনুষ্ঠান সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন।
যুক্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭২(৩) অনুচ্ছেদ মোতাবেক দশম জাতীয় সংসদ এখনো বিদ্যমান, পাঁচ বছর এখনো পূর্ণ হয়নি। আইনের দৃষ্টিতে এমপিদের পদে থাকা অসমর্থনীয় ও বাতিলযোগ্য।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের দফা (৩)-এ বলা হয়েছে, ‘সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে: তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।

সংবিধানের ১৪৮ (৩) এ বলা হয়েছে- এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর