× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এখন যে যার মতো কাজ করছে’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আমি এখন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। অভিনয়ে যেহেতু আগের মতো নেই তাই এখানেই ব্যস্ত সময় পার করছি। শোবিজে কাজ করার কারণে এখান থেকে আমি বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাই। মিডিয়ার কোনো কাজ থাকলে তখন আমাকে অফিস করতে হয় না। এই সময়ে নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন দর্শকপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ। নতুন বছরে এখনো কোনো নাটকে অভিনয় করেননি বলে জানান তিনি। তবে এরইমধ্যে দুটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। নতুন বছরে পরিকল্পনা কি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন বছরে কয়েকটি কাজের পরিকল্পনা করছি।
এগুলো এই মাসের শেষের দিকে চূড়ান্ত করবো। সত্যি বলতে, আমি নতুন বছরে একটু অন্যরকমভাবে দর্শকের সামনে আসতে চাই। সেই কারণে কাজও বেশি করছি না। ২০০৭ সালে ঐন্দ্রিলা ‘ঐখানে যেও নাকো তুমি’ নাটকের পর অভিনয়ে বিরতি টানেন। দীর্ঘ দশ বছর পর ২০১৭ সালের শেষের দিকে অভিনয়ে ফেরেন তিনি। গেল বছর কয়েকটি টিভি নাটকে এই অভিনেত্রীকে দেখা যায়। টিভি নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। সর্বশেষ টিভি নাটকের কাজ নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, গেল বছরের অক্টোবরের দিকে ‘চিলে কোঠার সংসার’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছি। এরপর আর কোনো নাটকে কাজ করা হয়নি। কারণ আমাদের এই সময়ে নাটকে কাজ করার ধরন বদলে গেছে। ঐন্দ্রিলার কথার প্রসঙ্গ ধরে জানতে চাওয়া হয়, নাট্যাঙ্গনে কেমন পরিবর্তন এসেছে? এই সময় এবং দশ বছর আগের কাজের মধ্যে পার্থক্য কি? ঐন্দ্রিলার ভাষ্য, আমার শুরুর দিকে আমরা সবাই একে অপরকে একই পরিবারের ভাবতাম। কিন্তু এখনকার সময়ে সবাই অনেক প্রফেশনাল হয়ে গেছে। এখন যে যার মতো কাজ করছে। এ ছাড়া আরো একটি বিষয় হচ্ছে, টিভি চ্যানেলের পছন্দ-অপছন্দ। নির্মাতা ইচ্ছে করলেই তার পছন্দের শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে পারছেন না অনেক সময়। কারণ, টিভি চ্যানেল শিল্পী নির্বাচন করে দেয়। ২০০১ সালে বাবার (প্রয়াত অভিনেতা বুলবুল আহমেদ) হাত ধরে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন এই গ্ল্যামারকন্যা। বাবার নির্দেশিত রবিন্দ্রনাথের ‘সুভা’ নাটকে তাকে প্রথম নায়িকা চরিত্রে দেখা যায়। পরে ‘পারমিতার দিনরাত্রি’, ‘অটুট বন্ধন’, ‘ভালোবাসার নীল প্রজাপতি’ ও ‘চন্দ্রহারা রাত্রি’সহ অনেকগুলো দর্শকপ্রিয় নাটক তিনি উপহার দিয়েছেন। এই সময়ে বাবাকে কতটা মিস করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিটি সন্তানের কাছে তার বাবা অনেক প্রিয়। আমার কাছেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমার আজকের এ পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে বড় অবদান হলো বাবার। তার হাত ধরেই আমার যাত্রা শুরু। বাবাই আমাকে পথচলা শিখিয়েছেন। বাবার দেখানো পথেই আমি হাঁটছি। যতদিন বেঁচে থাকি বাবার আদর্শেই বাঁচতে চাই। অভিনয়ের বাইরে অনেক শিল্পীই আজকাল নির্মাণ করছেন। ঐন্দ্রিলাকে কখনো ক্যামেরার পেছনে দেখা যাবে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যামেরার পেছনে কাজ করার জন্য আমি ফিল্ম মেকিংয়ের ওপর পড়াশোনা করেছি। নির্দেশনায় আমাকে দেখা যাবে। কিন্তু এর জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। নিজেকে যখন পরিপক্ব মনে হবে তখনই নির্মাণে আসবো। অর্থাৎ আমার সঠিক সময়টি এলেই নির্মাণ শুরু করবো। অনেকেই নির্মাণকে সহজ মনে করেন। আসলে এটাকে সহজ ভাবার কিছু নেই। কাজটি আমার কাছে কঠিন মনে হয়। আমি মনে করি, যে কাউকে পরিপক্ব হয়েই নির্মাণে আসা উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর