সেনবাগের কানকিরহাট ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ গোলাম আজমের (৪৮) ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফেনীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত করে একদল সন্ত্রাসী।
মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু বকর ভূঞার পুত্রবধূ ওই প্রতিষ্ঠানের নিম্মমান সহকারী বিবি মরিয়মের যোগদানকে কেন্দ্র করে স্বামী সুমনের নেতৃত্বে আজ বুধবার দুপুরে একদল সন্ত্রাসী অধ্যক্ষের কক্ষে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করে হেলমেট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে থাকেন। এতে তার মাথা সহ শরীর জখম হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,, সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ওই প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে থাকা কালীন ২০১৫ সালের ১৩ই ডিসেম্বর নিম্মমান সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি টেম্পারিং সহ জালিয়াতি করে তার পুত্রবধূ বিবি মরিয়মকে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিবি মরিয়ম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ২ অক্টোবর বিবি মরিয়ম ৩ দিনের ছুটি নিয়ে দরখাস্ত দিয়ে প্রায় ১ বছর ৪ মাস ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতির জন্য বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি ৩ দফায় তাকে নোটিশ প্রদান করেন। পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে সে নোটিশের জবাব দাখিল করলে ম্যানেজিং কমিটি তা প্রত্যাখান করে।
গত কয়েকদিন ধরে পুত্রবধূ মরিয়মকে মাদ্রাসায় যোগদান করাতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন সাবেক চেয়ারম্যান।
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল ভূঞা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে অধ্যক্ষের উপর হামলা রক্তপাত কোনো ভাবেই কাম্য নয়। যে সমস্যা রয়েছে তা ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে সমাধান করা যেত।
অপরদিকে ওই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিম্মমান সহকারী পদে আবেদনকারী ফেরদাউস আক্তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সিআইডি তদন্ত করে। পরে কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কায়সার, সেনবাগ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল আহম্মদ, অধ্যক্ষ গোলাম আজম ও জেলা শিক্ষা অফিসার সহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে ইনকিলাব পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি ভূয়া সহ নানা অনিয়ম খন্ডন করে আদালতে বিশাল প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এরপর থেকেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাবেক চেয়ারম্যানের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে মর্মে অনেকেই জানান।