× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিজয় পেতে জনগণের ঐক্য দরকার: ফখরুল

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে বিজয় লাভ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতাসীনদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, আজকে তাদেরকে পরাজিত করতে হলে জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সেই ঐক্যের মধ্যদিয়েই আপনাকে বিজয় লাভ করতে হবে। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, রাজনীতিতে হতাশার কোনো স্থান নেই। জাতীয় ঐক্যকে আরো জোরদার করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের একার মাধ্যমে এই সমাধান হবে না।
আমরা মনে করি আরো বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কেউ হতাশ হবেন না। পরিবর্তন হবেই। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব জাতীয় ঐক্যকে আরো সুসংগঠিত করা। কেউ যদি মনে করে এককভাবে সংগ্রাম করে বিজয় লাভ করবেন তাহলে আমি মনে করবো, তিনি সঠিক বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন না। তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এটা আওয়ামী লীগ কেন করলো? আমি বলবো এতে আওয়ামী লীগের একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ এদেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের একটি, তাদের গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের লোকরাই বলছে, আমার ভোট আমি দিতে পারলাম না কেন? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে নির্বাচনটি হয়ে গেছে তা বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকে না। দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এটা একটা তামাশা হয়েছে, প্রহসন হয়েছে। এই প্রহসন একটা নিষিদ্ধ প্রহসন। এতে মানুষের অধিকারকে হত্যা করা হয়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, একটা বিষয় স্পষ্ট প্রমাণ হয়েছে- বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার নির্বাচনে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্রের জুডিশিয়াল থেকে শুরু করে আনসার পর্যন্ত। যাদেরকে সরকার ব্যবহার করেছে। এই সরকারের ক্ষমতায় যাওয়ার মূল বিষয় হচ্ছে দেশকে একদলীয় শাসনব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেদের মালিক মনে করে। সেই সঙ্গে ভিন্নমতকে তারা সহ্য করে না। জনগণ হচ্ছে তাদের সত্যিকার অর্থে প্রজা। যে কারণে জনগণের অধিকারকে তারা কখনই স্বীকৃতি দেয় না। আমাদের যে সংবিধান রয়েছে তার একটা পরিবর্তন করে একদলীয় বাকশালে পরিণত করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের আরো বিজ্ঞজন রয়েছে তারা এ বিষয়টাকে এড়িয়ে গিয়েছে। জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বক্তব্য দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর