× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেড় বছরেও পুনঃনির্মাণ হয়নি পাটেশ্বরী ধনীটারী ব্রিজ

বাংলারজমিন

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

নাগেশ্বরীতে দেড় বছরেও পুনঃনির্মাণ হয়নি পাটেশ্বরী ধনীটারী ব্রিজটি। এতে যোগাযোগ বঞ্চিত প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে তৈরি ভেলায় চড়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করলেও সেটিও এখন অকেজো। তাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ১৯৯৩ সালে কেয়ার বাংলাদেশ ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে আদম আলী ট্রেডার্সের মাধ্যমে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী-ধনীটারী সংযোগ সড়কে ব্রিজটি নির্মাণ করেন। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই বছরেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রিজটি। বন্যায় ভেঙে ভেসে যায় অনেক নির্মাণ সামগ্রী। বন্যার পরে বাকি কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগের আলোর মুখ দেখতে থাকে ওইসব এলাকার মানুষ।
শিক্ষা অর্থনীতির দিকেও এগুতে থাকে তারা। ওই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করতে থাকে ওয়াপদা বাজার, বামনডাঙ্গা, অন্তাইরপাড়, রুইয়ারপাড়, পাটেশ্বরী, ধনীটারী, বড়মানী, তেলিয়ানী ও মালিয়ানীটারীর হাজারও মানুষ এবং ধনীটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাটেশ্বরী নুরানী ও হাফেজিয়া মাদারাসার সহস্রাধিক শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী। কিন্তু বিগত ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যা কাল হয়ে দাঁড়ায় ওইসব এলাকার মানুষের ভাগ্যের বিপরীতে। পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশের চাটাই ও ড্রাম দিয়ে ভেলা তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও সেটিও এখন ব্যবহারের অনুপযোগী।
তাই স্কুল ও মাদরাসা দুটিতেও কমে গেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে ওইসব এলাকার অনেক শিশু। শুধু ব্রিজই নয় নাগেশ্বরী বটতলা থেকে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তাটিও বেহাল। সংযোগ সড়কটি কাঁচা হওয়ায় খানা খন্দক আর গর্তের শেষ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না পথচারীর। বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ব্যাপারী বলেন ব্রিজটি পুনঃনির্মাণসহ সংযোগ সড়কটি পাকাকরণ জরুরি। আমি উপরে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি খুব শিঘ্রই হয়ে যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, আমরা বন্যার পরেই রাস্তা এবং ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্টিমেট করে এলজিইডির হেড কোয়ার্টারে পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলেই টেন্ডার হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর