মেহেদী হাসান (১৩) নামের মাদ্রাসা ছাত্রের ১৯ দিনেও খোঁজ মেলেনি। তার ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে অভিভাবকরা কান্নাকাটির পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে। নিখোঁজ মেহেদী বোদা উপজেলার মানিকপীর দারুস সুন্নাহ্ নূরানী হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র ও একই উপজেলার নতুনহাট ডাবরভাঙ্গা এলাকার খায়রুল আলমের ছেলে। সে গত ২৯শে ডিসেম্বর মাদ্রাসা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিখোঁজ মেহেদীর বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান বোদা উপজেলার বেংহাড়ি-বনগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপীর দারুস সুন্নাহ নূরানী হাফেজি মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করতো। গত ২৭শে ডিসেম্বর ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর ২৯শে ডিসেম্বর বিকালে বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়।
এর ৩-৪ দিন পর ওই ছাত্রের খোঁজ নিতে তার বাবা মাদ্রাসার এক শিক্ষককে মুঠোফোনে জানালে ওই ছাত্র মাদ্রাসায় আসেনি বলে জানান। এরপর থেকেই ওই মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবারের লোকজন তাদের সকল আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে না পেয়ে গত ৭ই জানুয়ারি বোদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। মেহেদীর বাবা বলেন, আমার ছেলে মানিকপীর হাফেজি মাদ্রাসায় প্রায় ৯ মাস ধরে হাফেজি পড়ছিল। বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান থাকায় গত ২৭শে ডিসেম্বর সে মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে ২৯শে ডিসেম্বর বিকালে সে মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। থানায় জিডি করেছি, পুলিশ জানিয়েছে তারা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এরপর দেশের সকল থানায় আমরা বার্তা পাঠিয়েছি। ওই ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। সেই সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।