একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মোহ কাটতে না কাটতেই আলোচনা চলছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণা করা না হলেও ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে থেকে নিজেদের প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন পাকুন্দিয়া উপজেলার সম্ভাব্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। ভোটারদের মধ্যেও কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে কর্মী-সমর্থকরা। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজেদের প্রার্থিতার ব্যাপারে জানান দিচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে কর্মী- সমর্থকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
আসন্ন নির্বাচনে তিনি ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠ পর্যায়ে আলোচনায় রয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবীর, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন। মাঠ পর্যায়ে এ পাঁচ প্রার্থীই সকলের কাছে বেশ পরিচিত। নিজেদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের আস্থা অর্জনে স্ব-স্ব কৌশলে মাঠে রয়েছেন তারা। দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় চালাচ্ছেন জোর লবিং। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রার্থিতার আভাস দিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন ডজন খানেক প্রার্থী। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কিনা, কেন্দ্রীয়ভাবে এনিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অনেকটাই নীরব ভূমিকায় রয়েছেন এখানকার সম্ভাব্য বিএনপি প্রার্থীরা।