অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্নার উপকরণ রাখা, খাদ্যদ্রব্য খোলা পরিবেশে রাখা এবং খাবার প্যাকেটে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুলশান-২ ও বনানীতে দুইটি রেস্টুরেন্ট ও একটি বেকারিকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মচারীদের ফিটনেস সনদ এবং ট্রেড লাইসেন্সে গরমিল পাওয়া যায়। ‘নিরাপদ খাদ্য’ ও ‘নিরাপদ সড়ক’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিএনসিসি এ অভিযান পরিচালনা করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ আনোয়ার। গতকাল দুপুর ২টায় গুলশান ১২৩ নং সড়কে অবস্থিত কোরিয়ানা রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা। এসময় তিনি এ অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান। প্যানেল মেয়র বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য’ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফুটপাথ ও অন্যান্য স্থাপনা অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করে আমরা ‘নিরাপদ সড়ক’ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবো। এ ছাড়া নাগরিক জীবনযাপন নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করাই আমাদের লক্ষ্য।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন অপরাধে গুলশান-২ এর কোরিয়ানা রেস্টুরেন্টকে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর ৫২ এবং ৫৩ ধারা অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা এবং ১০১ নং সড়কের ‘ফো ১০১’ রেস্টুরেন্টকে একই আইনের ৫৩ ধারা অনুযায়ী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া খাবারের প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ না থাকার অপরাধে একই আইন অনুযায়ী বনানী ১১ নং সড়কের বন্ড বেকারিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।