× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সলিডারিটি সেন্টারের অ্যাডভোকেসি সভা / প্রতারিত হলে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির দ্বারা প্রতারণার শিকার হলে, পাসপোর্ট, ভিসার কপিসহ অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) ড. আহমেদ মুনিরুস ছালেহীন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সলিডারিটি সেন্টার আয়োজিত ‘মানবপাচার প্রতিরোধ আইন নিয়ে অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। মুনিরুস ছালেহীন বলেন, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিদেশ গেছেন, এটা কেউ স্বীকার করতে চায় না। আমি অন্তত ১০০ জন লোককে ইন্টারভিউ করেছি। তাদেরকে এমন মন্ত্র পড়ানো হয় যে, তারা অতিরিক্ত টাকা লেনদেনের কথা স্বীকার করতে চায় না। সরকার গন্তব্য দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সবকিছু আলোচনা করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর, সেজন্য আমরা সরাসরি বলতে পারি না যে, তোমরা আমাদের মেয়েকে নির্যাতন করছো। এক্ষেত্রে আপনারা যারা ইন্টারন্যাশনাল এনজিও আছেন, তারা কিন্তু অনেক বেশি বলতে পারেন, প্রশ্ন তুলতে পারেন। অতিরিক্ত সচিব বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা ইনডাইরেক্টলি বলি।
নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান স্পষ্ট, একদম জিরো টলারেন্স। আমরা কোনোভাবেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাদের নারী শ্রমিকদের হতে দেব না, যেখানে তারা অন্যায়ভাবে নির্যাতনের শিকার হবে। নিরাপদ অভিবাসনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা যদি নিরাপদ, নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে অবশ্যই মানবপাচারকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের শ্রমবাজার যদি ঠিক থাকে, ব্যবস্থাপনা যদি ঠিক থাকে, তাহলে মানবপাচার কমিয়ে আনা সম্ভব। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সলিডারিটি সেন্টারের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জনসন বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ, অভিবাসন আইন শক্তিশালী করার জন্য যে পরিমাণ প্রচারণা চালানো হয়েছে তা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনি। পৃথিবীর জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে কিন্তু বিশ্বায়নের কারণে সেটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। তিনি বলেন শ্রমের প্রয়োজন সবসময় ছিল এবং থাকবে। ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এর মতে- সকল শ্রমিকই মর্যাদাপূর্ণ। প্রায়শই আমাদের নিয়োগকর্তাগণ এই ধারণা মানতে চান না। আমাদের এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে মানবপাচার প্রতিরোধ আইন-২০১২ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন যশোর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালেহা বেগম। এরপর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের (বোমসা) পরিচালক অ্যাডভোকেট সুমাইয়া ইসলাম, ওয়ারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন পরিচালক জেসিয়া খাতুন, নিউ এইজের সাংবাদিক ওয়াসিম উদ্দিন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ অফিসের ডেপুটি কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কেলি ফে রদ্রিগেজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর