তজুমদ্দিন উপজেলা সদরে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখায় মুহূর্তে পুড়ে গেছে প্রায় ৪০টি দোকান। এতে আনুমানিক সাত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাজার সদর রোডের শহীদ মাঝির মুদি দোকানের বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তজুমদ্দিন থানার অফিস ইনচার্জ ফারুক আহম্মদ জানান, আনোয়ার হাওলাদারের মেশিনারি স্টোর, মা-মনি টেলিকম সেন্টার, অজিউল্যাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, নাছির মেটাল, জাহাঙ্গীর পাটর্স স্টোর, দ্বীপ স্টোরসহ, ছোট-বড় প্রায় ৪০টি দোকান পুড়ে গেছে। ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, আগুনের খবর পেয়ে তজুমদ্দিন, লালমোহন, বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদরসহ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দ্রুত ঘটনা স্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দাস জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ছয় থেকে সাত কোটি টাকা হতে পারে।
বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, সিপিপি’র সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। মালামাল উদ্ধার ও আগুন নিভাতে গিয়ে তজুমদ্দিন প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন, শাহে আলম, মিঠুল সিং, হেলাল হাওলাদারসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় এমপি আলহাজ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দাস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারেফ হোসেন দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।