× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান শফি চৌধুরী

দেশ বিদেশ

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৭ জানুয়ারি ২০১৯, বৃহস্পতিবার

নিজেদের পারিবারিক জমি দখলমুক্ত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের বাসায় গিয়েছিলেন সিলেট-৩ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তার পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছিল। পুলিশকে বলে কোনো কাজ হচ্ছিলো না। অবশেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তার জমি দখলমুক্ত হয়েছে। এদিকে- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় শফি আহমদ চৌধুরীর যাওয়া এবং ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নানা তীর্যক মন্তব্যে বিদ্ধ হচ্ছেন সিলেটের বিএনপি দলীয় সাবেক এ সংসদ সদস্য। তবে- বিকালে মানবজমিন-এর কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার বিষয়টি খোলাসা করেছেন শফি আহমদ চৌধুরী। জানালেন- ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি বিব্রত।’ সিলেটের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরীও বনেদি পরিবারের সন্তান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের পরিবারের সঙ্গে তাদের পরিবারের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এর বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমেরিকা প্রবাসী বড়ভাইও শফি আহমদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা একসঙ্গে পড়ালেখা   করেছেন। এ কারণে রাজনীতিতে দুই মেরুতে তাদের অবস্থান হলেও পারিবারিক সম্পর্ক অটুট রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে হঠাৎ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের বাসভবন নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে দেখা করতে যান শফি আহমদ চৌধুরী। এ সময় তিনি ফুলের তোড়া দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। ওই সময় মোবাইল ফোনে ধারণ করা ছবি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবর প্রকাশের কারণও ভিন্ন। সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তখনকার বিএনপি নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা ইনাম আহমদ চৌধুরী গিয়েছিলেন সদ্য সাবেক হওয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করতে। পরবর্তীতে ইনাম আহমদ চৌধুরী বিএনপি’র চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ফলে শফি আহমদ চৌধুরীর এই কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সন্দেহ তৈরি হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। আওয়ামী লীগে যোগদানের খবরও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গতকাল বিকালে শফি আহমদ চৌধুরী মানবজমিনকে জানান- সিলেট শহরতলীর বাদাঘাটে বর্তমানে যেখানে নতুন কারাগার হয়েছে তার উল্টো দিকে তাদের পৈতৃক প্রায় ৩২ কিয়ার জমি রয়েছে। ওই জমি তারা প্রায় ৩৫ বছর আগে ক্রয় করেছিলেন। স্থানীয় কৃষক এতে ফসল বুনতো। সম্প্রতি ওই এলাকায় কারাগার স্থানান্তর হওয়ার কারণে জমির চাহিদা বেড়ে যায়। এই সুযোগে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জোরপূর্বক শফি আহমদ চৌধুরীদের এক কিয়ার জমি দখলে নিয়ে নেন। এতে বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। পুলিশকে অবগত করলেও পুলিশ কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন- জমি উদ্ধারে সহযোগিতা চাইতে তিনি পররাষ্ট্র্রমন্ত্রীর বাসায় যান। একই সঙ্গে আমেরিকা ফেরত বন্ধুর সঙ্গেও দেখা করার উপলক্ষ তৈরি হয়। গিয়ে তিনি ঘটনাটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। সব শুনে পররাষ্ট্রমমন্ত্রী নিজেই পুলিশের কর্মকর্তাদের ফোন করে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। শফি চৌধুরী জানান- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের পর পুলিশ এ ব্যাপারে সজাগ হয়। এবং তারা বুধবারই জমি দখলমুক্ত করতে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর দুপুরের দিকে তাদের জমি দখলমুক্ত হয়। এখন সব জমিই তাদের দখলে আছে বলে জানান শফি আহমদ চৌধুরী। বুধবার বিকালে তিনি নিজেও বাদাঘাট এলাকায় গিয়ে তার জমি দেখে এসেছেন বলে জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর