একই দিনে দুই ঘরানার দুই ছবি মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। আগামীকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সুপারহিরো থ্রিলারভিত্তিক হলিউডের ছবি ‘গ্লাস’। এম. নাইট শ্যামালান পরিচালিত ছবিটি একই দিনে মুক্তি পাবে স্টার সিনেপ্লেক্সে। অন্যদিকে, এ ছবির পাশাপাশি একই দিনে জাপানিজ অ্যানিমেশন মার্শাল আর্ট ছবি ‘ড্রাগন বল সুপার: ব্রলি’ মুক্তি দিচ্ছে তারা। ২০০০ সালের ‘আনব্রেকেবল’ এবং ২০১৬ সালের ‘স্পিøট’ ছবির পটভূমি নিয়ে নতুন এই সিনেমার কাহিনি নির্মিত হয়েছে। মূল ভূমিকায় অভিনয় করছেন ব্রুস উইলিস ও স্যামুয়েল এল জ্যাকসন। এই দুই জনপ্রিয় অভিনেতাকে পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখাটা দর্শকদের ভালো অভিজ্ঞতা উপহার দেবে বলেই আশা চিত্র সমালোচকদের। এরই মধ্যে ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পেয়ে গেছে।
এবার বড় পর্দায় মুক্তির জন্য অপেক্ষা। ছবিতে জেমস ম্যাকঅ্যাভয় ও এনা টেলর-জই ফিরছেন তাদের স্পিল্ট চরিত্রে। সাথে যুক্ত হয়েছেন সারাহ পলসন। এদিকে ব্রুস উইলিস, স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, স্পেন্সার ট্রেট ক্লার্ক এবং চার্লন উডার্ড ফিরছেন আরব্রেকেবল ছবির চরিত্রগুলোতেই। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনা ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এম. নাইট শ্যামালান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার সমসাময়িক সমাজ সংস্কৃতিতে অতিপ্রাকৃত উপাদান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সুপরিচিত। তার পরিচালনায় প্রশংসিত চলচ্চিত্রগুলো হল অতিপ্রাকৃত থ্রিলার ‘দ্য সিক্স্থ সেন্স’ (১৯৯৯), সুপারহিরো থ্রিলার ‘আনব্রেকেবল’ (২০০০), বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক ‘সাইন্স’ (২০০২) এবং ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র ‘দ্য ভিলেজ’ (২০০৪)। শ্যামালানের পরবর্তীতে কল্পনাধর্মী চলচ্চিত্র ‘লেডি ইন দ্য ওয়াটার’ (২০০৬), থ্রিলার ‘দ্য হ্যাপেনিং’ (২০০৮), ‘দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার’ (২০১০) এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক ‘আফটার আর্থ’ (২০১৩)। এই চলচ্চিত্রগুলোর জন্য শ্যামালান নেতিবাচক সমালোচনা পেলেও কয়েকটি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। ‘আফটার আর্থ’ ছবির বাণিজ্যিক ব্যর্থতার পর শ্যামালান ‘দ্য ভিজিট’ (২০১৫) এবং ‘স্পিøট’ (২০১৬) দিয়ে সফল হন। এদিকে ড্রাগন বল সিরিজের ২০তম চলচ্চিত্র ‘ড্রাগন বল সুপার: ব্রলি’। আকিরা তোরিয়ামার রচনায় এটি পরিচালনা করেছন তাতসুয়া নাগামিনে। গত ১৪ই ডিসেম্বর জাপানে মুক্তির পর থেকে দর্শকদের দারুণ সাড়া পেয়ে চলেছে ছবিটি। ড্রাগন বল একটি জনপ্রিয় জাপানী ধারাবাহিক কামিকস্। আকিরা তোরিয়ামা ১৯৮৪ সালে এটি লেখা শুরু করেন। এর অন্যতম চরিত্র গোকু। সে ড্রাগন বল নামক রহস্যজনক গোলক আকৃতির বলের অনুসন্ধানে বিশ্ব ভ্রমণ করে, যেটি একটি ইচ্ছা পূর্ণকারী ড্রাগন ছিল। যে কেবলমাত্র একটি ইচ্ছা পূরণ করতে পারে।
পরবর্তীতে গোকু হয়ে উঠে পৃথিবীর রক্ষক। মার্শাল আর্ট শিক্ষকদের কাছে থেকে বিভিন্ন সময়ে সে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নেয়। বন্ধুরাও তার সঙ্গে এ রোমাঞ্চকর ভ্রমণে থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দুষ্ট লোকের সঙ্গে লড়াই আর ড্রাগন বল খোজার সব রোমাঞ্চকর অভিযানের মাধ্যমেই চলতে থাকে গোকু ও তার বন্ধুদের জীবন। ড্রাগন বলের অনেকগুলো সিরিজ ও মুভি আছে। সিরিজগুলো হলো ‘ড্রাগন বল’, ‘ড্রাগন বল জি’, ‘ড্রাগন বল জিটি’। এবার নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে ‘ড্রাগন বল সুপার’।