× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার

দুই দশক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) এবং আসামিদের করা আপিলের শুনানি আবারো শুরু হয়েছে হাইকোর্ট। এরআগে একটি বেঞ্চে আংশিক শ্রুত ছিল। এখন পুনর্গঠিত বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। এরআগে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে আংশিক শুনানি হয়েছিল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন।
২০১৭ সালের ২০শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়াও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১০ আসামি হলেন-ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
এ ছাড়া আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, আসামি আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ের চারদিন পরই মামলার ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে আসে।
এরপর প্রধান বিচারপতির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন। পেপারবুক তৈরির পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয় একটি বেঞ্চে। আংশিক শ্রুত অবস্থায় বেঞ্চে পরিবর্তন হলে শুনানি থেমে যায়। এখন পুনর্গঠিত বেঞ্চে শুনানি শুরু হলো।
২০০০ সালের ২০শে জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০১ সালের ৮ই এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৯শে জুন আরো ৯ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর