× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেনিয়া কেন আল-শাবাবের লক্ষ্য হয়ে উঠছে?

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ১৮, ২০১৯, শুক্রবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন

গত ৫ বছরে জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব কেনিয়ায় ২০টিরও অধিক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ মানুষ। আল-শাবাব মূলত আফ্রিকার শিঙ হিসেবে খ্যাত সোমালিয়ার জঙ্গি সংগঠন। এদের উদ্দেশ্য সোমালিয়ায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে তারা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র কেনিয়াতেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। ২০১৩ সালে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি শপিং কমপ্লেক্সে আল-শাবাবের হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। আল-শাবাবের ক্ষোভ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিও। ২০১৫ সালের এপ্রিলে কেনিয়ার গারিসা শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি সংগঠনটির ভয়াবহ হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১৪৭ জন।
আর এ সপ্তাহে, নাইরোবির একটি হোটেল কমপ্লেক্সে আল-শাবাবের হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে ২১ জন। এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি আরো অর্ধ শতাধিকের।
আল-শাবাব যদিও সোমালিয়ায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে কেনিয়ায় কেনো সংগঠনটি হামলা করে যাচ্ছে? এর উত্তর খুঁজতে চলে যেতে হবে ২০১১ সালে। তখন উপকূল এলাকা থেকে নারীসহ কেনিয়ার নাগরিকদের অপহরন শুরু করে আল-শাবাব। এর প্রেক্ষিতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র সোমালিয়ায় আল-শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেনা পাঠায় কেনিয়া। সোমালিয়ার সেনাদের সঙ্গে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের হাত থেকে দক্ষিনাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহর উদ্ধার করে কেনিয়া। এরপর থেকেই কেনিয়ায় হামলা চালাতে শুরু করে সংগঠনটি। আল-শাবাবের মুখপাত্র শেখ আলি ধিয়ারি ২০১৪ সালে জানিয়েছিল, ‘মুসলিমদের ভূমি’ সোমালিয়ায় অভিযান চালিয়েছে কেনিয়া। তাই এর প্রতিশোধ নেয়া আমাদের কর্তব্য।
সংগঠনটি জিবুতি ও উগান্ডাতেও হামলা চালিয়েছে। সোমালিয়ায় স্থিতিশীলতা আনতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে এ দেশদুটি সেনা পাঠিয়েছিল। ২০১০ সালে উগান্ডার রাজধানী কামপালাতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে ৭০ জন নিহত হয়েছিলেন। এর চার বছর পর আল-শাবাব জিবুতির একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। কেনিয়ার সঙ্গে সোমালিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বেশিরভাগ হামলা এর ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যেই হয়ে থাকে। আল-শাবাব জঙ্গিরা সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা চালিয়ে থাকে। তবে আল-শাবাবে কেনিয়ার মুসলিমদের যোগদান কেনিয়ার জন্য আরো ঝুকির সৃষ্টি করে। গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ কুনো দুলিয়াদায়ন ছিল কেনিয়ার নাগরিক। সম্প্রতি সোমালিয়ার সেনারা তাকে হত্যা করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর