× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি ফ্ল্যাটে দিনেদুপুরে নাঈমা রহমান (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশের উপর কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ঘাতকরা। ওই সময়ে নাঈমা রহমান ছাড়া বাসায় আর কেউ ছিল না। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে ঘাতক নিহতের পূর্বপরিচিত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো বঁটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সোনাকান্দা নোয়াদ্দাস্থ সরদারবাড়ী এলাকার    তিনতলা মাবিয়া ভবনের ২য় তলার ফ্ল্যাটে। নিহত নাঈমা রহমান থাইল্যান্ড প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী। ছেলে নাফিজ রহমান (৮) ও মেয়ে আনুশী রহমানকে (১৫) নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে তিনি ভাড়ায় বসবাস করতেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে সোনাকান্দা নোয়াদ্দা এলাকার স্থানীয় এলাকাবাসী মাবিয়া ভবনের একটি ফ্ল্যাটে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল এসে ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর মেয়ে বন্দর গার্লস স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী আনুশী জানায়, প্রতিদিনের মত আমি ১১টায় স্কুলে চলে যাই। স্কুল ছুটি শেষে আমি ১টা ৪০ মিনিটে আমাদের ফ্ল্যাটে তালা খুলে দেখতে পাই আমার মা আগুন লাগা অবস্থায়  মেঝেতে পড়ে আছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পানি ঢেলে আমার মায়ের শরীরের আগুন নিভানোর চেষ্টা করি।

বন্দর থানার নবাগত ওসি রফিকুল ইসলাম  জানান, লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অজ্ঞাত খুনি গৃহবধূকে  কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে গেছে।  আমরা হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে ১টি ধারালো বঁটি, ১টি ম্যানিব্যাগ এবং ম্যানিব্যাগের ভেতরে একটি ছবি ও ১টি সিগারেট উদ্ধার করেছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ঘাতক পূর্ব পরিচিত। আমরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া ফ্ল্যাটের ৩টি চাবির মধ্যে  ১টি চাবি গৃহবধূ নাঈমার কাছে থাকতো। এবং বাকি ২টি চাবির মধ্যে ১টি তার মেয়ে আনুশীর কাছে ও অপরটি নিহতের ছোট ভাই কামরুলের কাছে থাকত। আমরা নিহত গৃহবধূর মেয়ে আনুশী ও তার মামা কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর