× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে অবৈধ হকার্স মার্কেট উচ্ছেদ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গবাজার সেতুর কাছে নরসুন্দা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হকার্স মার্কেট উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাসেম এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গৌরাঙ্গবাজার সেতুর কাছে নরসুন্দা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. নাজির হোসেন, পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিনা ইয়াসমিন এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল হাসেম বলেন, শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন দখলমুক্ত করেছিল। কিন্তু দখলমুক্ত করা সেই জায়গার গৌরাঙ্গবাজার সেতু সংলগ্ন অংশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট তুলে সেখানে দীর্ঘদিন যাবত দখলকারীরা ব্যবসা করে আসছিল। জায়গাটির পাশেই পৌর শিশুপার্ক অবস্থিত। শিশুপার্কের মূল ফটকের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে এসব অবৈধ দোকান ও স্থাপনার কারণে শিশুপার্কটি চালু করা যাচ্ছে না।
এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য এর আগেও একাধিকবার দখলকারীদের নির্দেশ দেয়া হলেও তারা কর্ণপাত করেনি বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাসেম।এদিকে অভিযানের মাধ্যমে হকার্স মার্কেটটি উচ্ছেদ করার পর হকারদের পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ফেরিওয়ালা শ্রমিক ইউনিয়নের (প্রস্তাবিত) সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় বাবু।
তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গ বাজারের লেকপার্কের সামনে ফেরিওয়ালারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলো। রোববার প্রশাসন উচ্ছেদ করায় অসহায় ও ছিন্নমূল এসব মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। উচ্ছেদের ফলে বিক্রির জন্য কেনা মালামাল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাদেরকে পুনর্বাসন করা না হলে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারাসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর