ছয়দিন পর মেঘনায় তেলবাহী জাহাজের ধাক্কায় মাটিভর্তি ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের মধ্যে ২ শ্রমিকের মরদেহ ভেসে উঠেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও দুপুরে চাঁদপুরের ষাটনল মেঘনা নদীতে মরদেহ দুটি ভেসে উঠে। মরদেহ দুইটির মধ্যে একটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এবং অপরটি চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় পঞ্চমদিনের মতো উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরআগে শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা মুন্সীগঞ্জের মেঘনা অংশে উদ্ধার অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে উদ্ধার অভিযানের ঘোষণা দেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গজারিয়ার মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভেসে উঠলে দুই জেলায় পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুরের ষাটনলের মেঘনা নদীতে আরেকটি মরদেহ ভেসে উঠলে নিখোঁজদের স্বজনদের খবর দেয়া হয়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাবনা থেকে নিখোঁজদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন গজারিয়া তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ মো. আরশাদ আলী। তবে, তাদের ধারণা করা হচ্ছে- উদ্ধারকৃত মরদেহ দুইটিই নিখোঁজদের। এদিকে, গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পঞ্চবটি এলাকা থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলার মালিক জাকির দেওয়ানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।