তিন কোটি টাকা বকেয়া পাওনা না দেয়ায় সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ গ্লোভিস ম্যাপল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে লাইটার জাহাজ প্রতিষ্ঠান ডব্লিউটিসি। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ৭ দিন ধরে আটকা পড়েছে জাহাজটি। এতে জাহাজটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে দশ হাজার ডলার করে।

সূত্র জানায়, ভিয়েতনাম থেকে ৪৯ হাজার ৫০০ টন পাথর নিয়ে গত ২২শে ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হলেও বকেয়া তিন কোটি টাকা না পাওয়ায় ১৪ই জানুয়ারি থেকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষ থেকে নিয়োজিত লাইটার জাহাজগুলো পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়। পণ্য খালাসে দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রামের কাদেরীয়া এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছে তিন কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে। ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে টাকা না পাওয়ায় তারা ডব্লিউটিসিকে টাকা দিতে পারছে না। ডব্লিউটিসি লাইটার জাহাজ মালিকদের টাকা দিতে পারছে না। ফলে ডব্লিউটিসি তাদের নামে লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে গত ৭ দিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আটকা পড়েছে জাহাজটি।

বিষয়টি জানিয়ে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান গ্রিসের সি-ফ্রন্ট মেরিন এসএ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে জরুরি পত্র দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।
সূত্র জানায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্য পরিবহন বিলের ৬০ ভাগ অগ্রিম পরিশোধ করে। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং তা করেনি। এতে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠান লাইটার জাহাজ ভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে এই ক্যারিয়ারের অনুকূলে লাইটার জাহাজ বরাদ্দ দেয়া স্থগিত করা হয়। মূলত এ কারণে গ্লোভিস ম্যাপল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এতে জাহাজটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে আরো দশ হাজার ডলার।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, লাইটার জাহাজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় আটকা পড়েছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ গ্লোভিস ম্যাপল। এর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে আমদানিকারকদের চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য জাহাজ ভাড়া করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।