× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেই গ্যাঁগোর জালে পিএসজির ৯ গোল

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

মাত্র ১০ দিন আগে গ্যাঁগোর বিপক্ষে নিজ মাঠেই ২-১ গোলে হেরে ফরাসি লীগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেয় টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এবার লীগ ওয়ান ম্যাচে গ্যাঁগোকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলো পিএসজি। শনিবার প্যারিসে গ্যাঁগোর জালে রেকর্ড ৯ গোলের উৎসবে মাতেন নেইমার-এমবাপ্পে কাভানিরা। আর অল্পের জন্য ‘ট্রিপল হ্যাটট্রিক’ মিস করে পিএসজি। ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিক করেন বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। নেইমার আর এক গোল পেলেই আক্রমণভাগের ত্রিফলার হ্যাটট্রিকের কীর্তি হয়ে যেত। জোড়া গোল পান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। নিজ মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে আগের সবচেয়ে বড় জয় ছাপিয়ে যায় পিএসজি।
গত বছরই ডিজনের বিপক্ষে ৮-০ গোলের জয় কুড়ায় তারা। আর পিএসজির ক্লাব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ১০-০ গোলের ব্যবধানে (১৯৯৪ সালে কোট শ’ ক্লাবের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ কাপ ম্যাচে)। বিগত ৪৫ মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো লীগ ওয়ান ম্যাচে দু’জন খেলোয়াড় তিনটি বা তার বেশি গোল পেলেন। এমবাপ্পে-কাভানি জুটির আগে ১৯৭৯ সালে বোর্দোর হয়ে ভ্যালেন্সিয়েনেসের বিপক্ষে শেষবার এই নৈপুণ্য দেখান আলবার্ট জেমরিখ ও জেরার্ড সোলার। আর পিএসজির ক্লাব ইতিহাসেই এই প্রথম লীগ ম্যাচে দলের তিনজন খেলোয়াড় ২টি বা তার বেশি গোলের প্রদর্শনী দেখালেন। গত মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নাম লেখানোর পর লীগে নেইমারের ৩৩ ম্যাচে ৩২ গোল হয়ে গেল। লীগ ওয়ানে গেল ৪৫ বছরের ইতিহাসে এতো দ্রুত এতো গোল কারো নেই। গ্যাঁগোর বিপক্ষে ৬ গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ১১ মিনিটেই স্বদেশি দানি আলভেসের পাসে গোল উৎসবের সূচনা করেন নেইমার। ৩৭ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোলের খাতায় নাম লেখান এমবাপ্পে। প্রথমার্ধের শেষ মিনেটে কাভানির পাস থেকে ফের সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি এমবাপ্পে। ৫৯ মিনিটে গোল পান কাভানি। এর ৭ মিনিট বাদেই কাভানিকে দিয়ে আরেকটি গোল আদায় করেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ৬৮ মিনিটে এমবাপ্পের বাড়ানো বল থেকে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন নেইমার। আর ৭৫ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পাঁচ মিনিট এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকসূচক গোলে অ্যাসিস্ট করেন কাভানি। ৮৩ মিনিটে গ্যাঁগোর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন বেলজিয়ান রাইটব্যাক টমাস মুনিয়ের। পুরো ম্যাচে ৬৮% বল দখলে রেখে ২৬টি শট নেয় টমাস টুকেলের শিষ্যরা। এর মধ্যে ১২টি শট ছিল অনটার্গেটে। আর গ্যাঁগোর নেয়া ২টি শটই লক্ষ্যভ্রষ্ট। লীগ ওয়ানে ২০১৭-১৮ মৌসুম থেকে প্রতি ৫৭ মিনিটে পিএসজির একটি গোলে অবদান রাখেন নেইমার (২৯১৫ মিনিটে ৩২ গোল ও ১৯ অ্যাসিস্ট)। যা এ সময়ের মধ্যে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগে পাঁচটির বেশি গোলে অবদান রাখা খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা। আর ১৭ গোল করে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসির পাসে বসেন এমবাপ্পে। লীগ ওয়ান মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২২টি গোলে অবদান এমবাপ্পের (১৭ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট)। ইউরোপের সেরা পাঁচ লীগে শুধুমাত্র মেসি (২৭) ও লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ (২৩) এর চেয়ে ভালো করেছেন। লীগ ওয়ানের ইতিহাসে ৩ পয়েন্ট চালুর পর ১৯ ম্যাচ শেষে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সেরা শুরুর রেকর্ডও গড়ে পিএসজি। ১৯ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৬২ বার বল পাঠায় তারা। প্রতিযোগিতায় মৌসুমের এই পর্যায়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ১৯ ম্যাচে ৬৩ গোল দিয়েছিল আরসি প্যারিস। পয়েন্ট তালিকায় পিএসজির চেয়ে ২ ম্যাচ বেশি খেলে ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিলে (২১ ম্যাচে ৪০)। ২১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্যাঁগোর অবস্থান একেবারে তলানিতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর