× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবদুল হাই’র মামলা চলবে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট বরাদ্দ নেয়ার মামলা বাতিল প্রশ্নে এর আগে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশও তুলে নেয়া হয়েছে। ফলে বিচারিক আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুল খারিজের রায় দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মো. খুরশিদ আলম। জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২৯শে জানুয়ারি রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবরে গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দের আবেদন করেন আবদুল হাই।
নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের সঙ্গে হলফনামা দাখিল করে এতে তিনি অঙ্গীকার করেন যে, ‘বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীর রাজউকের আওতাধীন এলাকায় কোথাও তার নিজের নামে, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে অথবা পোষ্যের নামে কোনো আবাসিক জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। রাজউক অথবা কোনো সরকারি সংস্থা কর্তৃক কোনো আবাসিক জমি বা বাড়ি বরাদ্দ অথবা লিজ প্রদান করা হয়নি। এ ঘোষণা সম্পূর্ণ সত্য ও নির্ভুল।’ এরপর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসবে ২০০৫ সালের ৭ই জুন নিজ নামে গুলশান ও বনানী আবাসিক এলাকায় সাময়িকভাবে বরাদ্দকৃত প্লটের বরাদ্দপত্র জারির জন্য রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজউক আবদুল হাইয়ের নামে বনানী আবাসিক এলাকায় একটি প্লট শর্ত সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বরাদ্দ দেয়। পরে ২০০৫ সালের ২০শে জুন বনানী আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর রাস্তার কমবেশি ৫ কাঠা আয়তন বিশিষ্ট ৯ নম্বর প্লটটি তার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আবদুল হাই সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন এ অভিযোগে দুদক মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মতিঝিল থানার মামলাটি দায়ের করেন।
পরে একই উপ-পরিচালক তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৮শে নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এ বিচারাধীন আছে। মামলা বাতিলের আবেদন করলে ২০১৮ সালের ১০ই মে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলের মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই বছরে তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পান। এই রুল গতকাল খারিজ হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর