× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুয়েতে দূতাবাসে ভাঙচুর /২১৫ বাংলাদেশিকে ফিরতেই হবে

শেষের পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২১৫ বাংলাদেশিকে ফিরতেই হচ্ছে। তাদের বেতন ও ভাতাসহ সব ধরনের বকেয়া পরিশোধ করতে লেসকো কোম্পানিকে নির্দেশনা দিয়েছে কুয়েত সরকার। সব ধরনের বকেয়া বুঝিয়ে দেয়ার পরই তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, বাঙালিরা  এককাপড়ে দেশে ফেরত যাক- এটা আমরা কোনো সময় কামনা করি না। বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যেন মামলা করা না হয় এজন্য আমরা কুয়েত সরকারকে অনুরোধ করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের ছাড়িয়ে নিতে দেন দরবার করছি। তিনি বলেন, কুয়েতের নিজস্ব আইন রয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।
তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো। এদিকে কুয়েতে বসবাসরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মানবজমিনকে জানান, বেতন ভাতা ও আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) আদায় নিয়ে দূতাবাসে নালিশ করতে গিয়ে আমরা কোনো অপরাধ করিনি। লেসকো কোম্পানিতে গত তিন মাস ধরে বেতন হয়নি। তাই শ্রমিকরা নিজেদের পেটের তাগিদে এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিল। তাদের ক্ষোভকে আমলে না নেয়ার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ভাঙচুরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও একটি কোম্পানিতে চাকরিরত এক বাংলাদেশি মানবজমিনকে বলেন, শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ প্রথমে ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর কোম্পানির একজন কর্মকর্তা লিখিতভাবে আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেতন পরিশোধ ও আকামা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কোম্পানির ওই প্রতিশ্রুতিতে শ্রমিকরা আশ্বস্ত হননি। এজন্য কোম্পানির কর্মকর্তাকে দূতাবাস ত্যাগ করতে দিতে চাননি তারা। শ্রমিকদের আপত্তি উপেক্ষা করে লেসকোর প্রতিনিধিকে দূতাবাস কর্মকর্তা গাড়িতে তুলে দিতে চান। এরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করানোর জন্য পুলিশ ডাকার বিষয়টি দৃষ্টিকটু ছিল। তবে অবস্থা দেখে কোম্পানির কর্মকর্তাকে পুলিশি সহায়তায় বের করে দিলে হয়তোবা এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতো না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর