× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ীরা এককভাবে কি সংসদে যেতে পারবেন?

প্রথম পাতা

কাজী সোহাগ
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গঠিত নির্বাচনী জোট ঐক্যফ্রন্টের কেউ কি এককভাবে এমপি হিসেবে শপথ নিতে পারবেন? গত কয়েক দিন ধরে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এবারের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি দলীয়  ৬ জন ও গণফোরামের দুইজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে গণফোরামের একজন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর রয়েছে গণফোরামের দুই সদস্য সংসদে যোগ দিতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি সংসদে না যাওয়ার পক্ষে অনড় রয়েছে। বিএনপি সংসদে না গেলে ধানের শীষে নির্বাচন করা গণফোরামের প্রার্থী সংসদে অংশ নিতে পারবেন কিনা- এ প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া জানিয়েছেন, নির্বাচিত এমপি হিসেবে এককভাবে যে কেউ শপথ নিতে পারেন। এতে কোনো ধরনের বাধা নেই।
আর নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ যদি সংসদ সচিবালয়ে শপথ নিতে আসেন তাহলে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার আইনগত কোনো এখতিয়ার নেই। শপথ নেয়ার পর সংসদেও যোগ দিতে পারবেন।

মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। অন্যদিকে সিলেট-২ আসনে গণফোরামের নিজস্ব প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে জয়ী হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান। এ প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, এই দুজন চাইলে যেকোনো সময় এমপি হিসেবে শপথ নিতে পারেন। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। শপথের জন্য সময় নির্ধারণ করা আছে নির্বাচিত হওয়ার পর ৯০ দিন পর্যন্ত। একই প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া মানবজমিনকে বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত যে কেউ শপথ নিতে পারেন। সংসদ সচিবালয় তাদের শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কোনো বাধা নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, সবকিছু তো হয় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে। তাদের আসার বিষয়টি যদি ঐক্যফ্রন্টের মত নিয়ে না হয় সেক্ষেত্রে বিএনপি তাদের বিষয়ে স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে সুস্পষ্টভাবে আইনগত কোনো ব্যাখ্যা নেই বলে দাবি করেছে সংসদ সচিবালয়। প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, অতীতে এ ধরনের কোনো উদাহরণ নেই। গণফোরামের দুই সদস্য যদি সংসদে যোগ দেন তাহলে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বরখেলাপ হবে না। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন তাহলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে। এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে-যদি কোনো সংসদ সদস্য, যে দল তাহাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করিয়াছেন, সেই দলের নির্দেশ অমান্য করিয়া-(ক) সংসদে উপস্থিত থাকিয়া ভোটদানে বিরত থাকেন অথবা (খ) সংসদের কোনো বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন তাহা হইলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, সংসদে যোগ দিতে ইচ্ছুক ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা যদি শপথ নেন ও সংসদে যোগ দেন তাহলে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। কারণ সংসদে যোগ দিয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ তাদের নেই। কারণ তাদের দলই তো সংসদে নেই।

আর যদি দল থেকে পদত্যাগ করে তাহলে ভিন্ন বিষয়। এদিকে গণফোরামের দুই সদস্য সংসদে যোগ দেবেন কি-না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি যোগ দেয় তাহলে সবাই একসঙ্গে যোগ দেবে। আর যদি না দেই তাহলে কেউ যোগ দেবেন না। তবে এই সংসদে সবার যোগ না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে সংসদে যোগ দিচ্ছেন কি-না এমন প্রশ্নে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। সময়ই কথা বলবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর