× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছে’

অনলাইন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ২১, ২০১৯, সোমবার, ৪:২২ পূর্বাহ্ন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা আসাকে দেশের সাধারণ ভোটাররা মেনে নেয়নি। নির্বাচনে দিনে ভোট চুরি, রাতে ভোট ডাকাতি করে সাজানো ক্ষমতায় এলেও দেশের মানুষ তা মেনে নেয়নি। ক্ষমতাসীনদের এর জবাব দিতে হবে একদিন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার  রাজপুর ইউনিয়নের পাগলারহাট ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় সংঘর্ষে নিহত রাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হকের স্বজনদের সান্তনা জানাতে সোমবার দুপুরে লালমনিরহাটে এসে এ কথা বলেন তিনি।

নিহত বিএনপি নেতার কবর জিয়ারত করেন তিনি।  মির্জা আলমগীর বলেন, ভোট কেন্দ্রে গেলে বিএনপি বা বিরোধীদলের ভোটার হলে লাঠি পেটা করে বের করে দেওয়া হয় আর যে নৌকার ভোটার তাদের দিয়ে বিরোধী দলের ভোটগুলোও মেরে নেয় এটা কি গণতন্ত্র। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেলে তাদের খুন করে ভোটারের লাশের উপর লাল রক্ত পেরিয়ে ক্ষমতা আসাটা সুফল না, আগামীদিনের জন্য হুমকি স্বরুপ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আর যাবে না বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তারা ভোটের কালির পরিবর্তে বুকে লাল কালি দিয়ে ফিরিয়ে দেয় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জোর করে বারবার ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগ ভোটের আগের রাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের বাক্স-এ সিল মারে।
এ কি নিরপেক্ষ লেভেল প্লেয়িং নির্বাচন বলে। দিনের বেলা সাধারণ ভোটার বিরোধী দলের ভোটারদের ভোট কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিয়ে দিনে আবারো সিল মারা শুরু করে। সাধারণ ভোটাররা ভোটের অধিকার শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছে। যে দল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে সেই দল আবার ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। অচিরে ভোট বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে দেশের জনগনকে সঙ্গে নিয়ে সরকার পতন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মির্জা ফকরুল আরো বলেন, নোয়াখালীর কবির হাটে বিএনপি করে বলে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করে আওয়ামী লীগ একক ক্ষমতায় থাকতে চায়। দেশের মানুষ যখন মাঠে নামবে তখন আওয়ামী লীগ দিশকুল পাবে না পালাবার।

জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিবের সভাপতিত্বে এ সময় কৃষক শ্রমীক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৭১ এর আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ দেশে আর  নেই। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এক না। বর্তমান আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মানুষের ভোটের অধিকার দিনে চুির আর রাতে ডাকাতি করে ছিনিয়ে দিয়েছে। চোর ডাকাতের আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে। ভোট দিতে মানুষ গেলে হত্যা করে। ভোটার লাশ হয়ে বাড়ি ফিরে এটা কি গনতন্ত্র। দেশে গণতন্ত্র নেই আছে হাসিনা তন্ত্র।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, যে ভোটে লাশের গন্ধ সেই ভোট ভোটার বর্জন করেছে। এ ভোট ভোটার মেনে নেয়নি। এ ছাড়াও গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের  ট্রাষ্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, বিএনপি নেতা এএএম মমিনুল হক, আফজাল হোসেন ও হারাটী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর