টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামসু (৪০) ওরফে বার্মাইয়া শামসু নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত শামসু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১০টি মামলা রয়েছে। সে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব শিকদারপাড়া গ্রামে বসবাসকারী মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। গত রোববার রাত ২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়াস্থ নাফ নদীর তীরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত এবিএমএস দোহা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি শামসুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রোববার রাত ২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া চেকপোস্টের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ সামসুলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’টি দেশে তৈরি বন্দুক, ২০ হাজার ইয়াবা, ১২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় টেকনাফ থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) রাসেল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফয়েজ ও মো. আমির আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক বিক্রেতার তালিকায় শামসুর নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১০টি মামলা রয়েছে। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টেকনাফে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৬ মাদক কারবারি নিহত হয়।