কিশোরগঞ্জ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন জেলা শহরের আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচিত জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সালমা হক। সালমা হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সালমা হক বর্তমানে শহরের পৌর মহিলা কলেজে শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। স্কাউটিংয়েও তার অনবদ্য কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পুরুষ-মহিলার সম্মিলিত প্রতিযোগিতায় জেলায় শ্রেষ্ঠ রোভার হবার পর ময়মনসিংহ বিভাগেও শ্রেষ্ঠ রোভার হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বুরিতে তিনি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস টিমে কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্কাউটের পক্ষ থেকে ভারত এবং ভুটানও সফর করেছেন।
তার নেতৃত্বে পৌর মহিলা কলেজ দল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কয়েক বছর ধরে ঢাকা বোর্ডে একাধিক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হচ্ছে।
সালমা হক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও সমানভাবে সক্রিয়। দল যখন বৈরি পরিবেশ মোকাবেলা করেছে, তখনও তিনি সংগঠনের কাজ চালিয়ে গেছেন। তার বাবা মরহুম একেএম ফায়জুল হকও আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত সংগঠক ছিলেন। সালমা হকের তিন ভাই আওয়ামী রাজনীতির জন্য কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন। তার এক ভাই সায়দুল হক শেখর সরকারি গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলেন। ছোট বোন শিক্ষিকা লায়লা হক বন্যা গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগের প্যানেলে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নির্বাচিত হয়েছিলেন। সালমা হক বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, তাহলে বিগত দিনের মতই দলের প্রতি নিবেদিত থেকে দলের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে যাবো।