গোয়াইনঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সর্বনাশ ঘটিয়েছে এক লম্পট। বিবাহ করে সংসার জীবন শুরু করবে- এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে তার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তার সর্বস্ব লুট করেছে ওই লম্পট প্রেমিক। দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ঢাকার একাধিক হোটেলে বসবাস করে সময় কাটছিল তাদের। এমতাবস্থায় হঠাৎই প্রেমিকাকে রেখে পালিয়ে যায় লম্পট প্রেমিক। এ ঘটনায় বিয়ের দাবিতে ওই প্রেমিকের বাড়িতে উপস্থিত হয় হতভাগিনী প্রেমিকা রোকেয়া খানম। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাটে তোলপাড় চলছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বুগইলকান্দি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিমের ছেলে আব্দুস সামাদ তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাবুল মিয়ার মেয়ে রোকেয়া খানমের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে। এমতাবস্থায় বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি উভয় পরিবার।
এদিকে, প্রেমিক প্রেমিকা সময়ে অসময়ে তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এক সময় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। এরই মধ্যে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের দাবিটি প্রত্যাখ্যান করা হলে তারা গোয়াইনঘাট থেকে পালিয়ে যায় ঢাকায়। আশ্রয় নেয় একটি অভিজাত হোটেলে। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে কিছুদিন সেখানে থাকে। ঘর সংসার না হলেও তারা বিয়ে করা স্বামী-স্ত্রীর মতোই চলছিল। এমতাবস্থায় সম্প্রতি প্রেমিকাকে ঢাকায় ফেলে পালিয়ে আসে প্রেমিক সামাদ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রেমিকা রোকেয়া খানম ঢাকা থেকে গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং বুগইলকান্দি গ্রামে ছুটে আসে। সোমবার সকাল ১০টায় সোজা গিয়ে উঠে প্রেমিক সামাদের বাড়িতে। বিয়ের দাবিতে শুরু করে অনশন। হঠাৎ প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়িতে থাকা লম্পট প্রেমিক গা ঢাকা দেয়। এদিকে, প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের খবর স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে প্রেমিকাকে দেখতে ভিড় জমে যায় ওই বাড়িতে। এ ব্যাপারে কথা হলে প্রতারক প্রেমিকের দ্বারা নির্যাতিতা প্রেমিকা রোকেয়া খানম সাংবাদিকদের জানায়, আমার সঙ্গে দীর্ঘ চার মাস থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সামাদ। আমাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে এমন মিথ্যা আশ্বাসে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। ঢাকায় নিয়ে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে হোটেলে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে দিনের পর দিন। এমতাবস্থায় সম্প্রতি আমাকে ঢাকায় ফেলে পালিয়ে আসে প্রতারক সামাদ। আমি তার স্ত্রীর মর্যাদার দাবি আদায়ের জন্য তার বাড়িতে অবস্থান করছি এবং আমরণ অনশন করে যাব। এ ব্যাপারে আমি সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে কথা হলে গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।