× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে মারামারি, আহত ২

বাংলারজমিন

রাবি প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার

পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের দু’জন আহত হয়েছেন। একজনের মাথা ফেটে যায় এবং অপরজনের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। রোববার রাত ৮টার দিকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় একজনকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। আটককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটে বাঁধন নামের স্থানীয় এক যুবককে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন সারোয়ার বঙ্গবন্ধু হলের পাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
এ সময় চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে বহিরাগত কয়েকজন যুবক ওই দোকানের সামনে আসে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন ইমতিয়াজের গলায় আচমকা ছুরিকাঘাত করে বাইকে চড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় আরিফ ইশতিয়াক রোমেল নামে তাদের একজনকে আটক করে মারধর করে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ ও আরএমপির মতিহার জোনের ডিসিসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের সামনেই আটককে মারধরের প্রস্তুতি নেন। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তেজনাকর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোমেলকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে হল থেকে বের করার মুহূর্তে আবারো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার ওপর চড়াও হয় এবং তাকে উপর্যুপরি মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ডিসি সাজিদ হোসেন ও মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম, সহকারী প্রক্টর শিবলী ইসলাম, আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার শরীরে আঘাত পান। পরে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আটককে চিকিৎসার জন্য তৎক্ষণাত রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওসি মাহবুব আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। আমরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরিফকে মারধর করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক আঘাত পেয়েছেন। আরিফকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর