ক্রিকেট ম্যাচে এক দলের সব ব্যাটসম্যানই ক্যাচআউট হওয়ার ঘটনা নিয়মিত দেখা যায় না। গতকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ম্যাচে সেটিই দেখালো রাজশাহী কিংস। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে প্রতিপক্ষ দলের ফিল্ডারদের হাতে ১০টি ক্যাচ উপহার দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলে ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে ৩৮ রানে জয় কুড়ায় মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী। সর্বাধিক ৩টি ক্যাচ নেন রাজশাহীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্রিস্টিয়ান ইয়নকার। ২টি করে ক্যাচ তালুবন্দি করেন শাহরিয়ার নাফিস ও অধিনায়ক মিরাজ। কিন্তু ইনিংসে কোনো ক্যাচ নিতে দেখা যায়নি রাজশাহী কিংসের উইকেটরক্ষক জাকির হাসানকে। গতকাল বল হাতে সর্বাধিক ৪ উইকেটের নৈপুণ্য দেখান পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে তামিম ইকবালকে (২৫) হারায় কুমিল্লা। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় তামিমকে মার্শাল আইয়ুবের ক্যাচবন্দি করে ব্রেকথ্রু এনে দেন রাব্বি। ইনিংসের দশম ওভারে এনামুল হক বিজয়কে (২৬) নাফিসের তালুবন্দি করেন রায়ান টেন ডেসকাটা। পরের ওভারেই আরাফাত সানির স্পিন ঘূর্ণিতে শামসুর রহমানের (১৫) ক্যাচ নেন বদলি খেলোয়াড় সিকুগে প্রসন্ন। এর পরের ওভারে ডেসকাটার বলে জিয়াউর রহমানকে (১২) সাজঘরে পাঠান ইয়নকার। ১৪তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আফগান লেগস্পিনার কায়েস আহমেদ। কুমিল্লা দলপতি ইমরুল কায়েস (১৫) ও থিসারা পেরেরার (০) ক্যাচ নেন যথাক্রমে নাফিস ও ইয়নকার। ১৮তম ওভারে তিন উইকেট নেন রাব্বি। প্রথম বলে ইয়নকারের হাতে ধরা পড়েন শহীদ আফ্রিদি (১৯)। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ফেরেন লিয়াম ডসন (১৭) ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (০)। দু’জনের ক্যাচ ধরেন যথাক্রমে মিরাজ ও ব্যাট হাতে আসরের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া লরি ইভান্স। আর ১৯তম ওভারে মেহেদী হাসানকে (১) মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে কুমিল্লাকে গুটিয়ে দেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।