× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘সুপার ব্ল্যাড উল্ফ মুন’ আসলে কী?

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ২২, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের বহু দেশের মানুষজন আকাশে ‘সুপার ব্ল্যাড উল্ফ মুন’ দেখেছেন।  রোববার রাত থেকে শুরু হয়েছিল এ বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। এটি একইসঙ্গে বছরের প্রথম পূর্ণিমাও। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে এই চন্দ্রগ্রহণের পুরোটা দেখা গেছে। যার রং ছিল বেশ লাল। এই চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে, বিশেষ করে এর নামটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন। এ নিয়েই বিস্তারিত লিখেছে বিবিসি বাংলা।
একই রেখায় সূর্য ও চাঁদের ঠিক মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে পৃথিবী যখন অতিক্রম করে তখন এই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান হয় পৃথিবীর পেছন দিকে। আর চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার পুরোপুরি নিচে চলে যায়।
সে কারণে এটির রং গাঢ় লাল হয়ে উঠে। তবে চাঁদ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে উঠে তা নয়। ছায়ায় চলে গেলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সামান্য সূর্যের আলো চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছায়। সেই আলোর কারণে এটি লাল দেখা যায়। ভোল্টেজ কমে গেলে পুরনো দিনের লাইট বাল্বের যে রঙ হয় কিছুটা সেরকম। সাধারণ চাঁদের থেকে এটি অনেক বড় ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন আকারে সাধারণ সময়ের চাঁদের থেকে সাত শতাংশ আর উজ্জ্বলতায় পনেরো শতাংশ বেশি হতে পারে এমন চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণের সময় ছিল ঘণ্টাখানেক। ২০২৯ সাল পর্যন্ত এমন ‘সুপার ব্ল্যাড উল্ফ মুন’ আর দেখা যাবে না। এর আগে ‘ব্ল্যাড মুন’ সম্পর্কে হয়তো শুনেছেন। বৈজ্ঞানিক এসব নাম তৈরির পেছনে নানা রকম কারণ রয়েছে। ‘সুপার ব্ল্যাড উল্ফ মুন’, চাঁদের এমন উদ্ভট নাম কীভাবে এলো?
এসময় পৃথিবীর সবচাইতে কাছে চলে আসবে চাঁদ। তাই এটিকে আকারে এত বড় দেখা যাবে। এজন্য ‘সুপার’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে যে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায় সেটিকে ‘উল্ফ মুন’ বলা হয়। শীতের দেশে জানুয়ারি মাসে খুব ক্ষুধার্ত থাকে উল্ফ বা নেকড়ে। সে সময় আকাশের দিকে মুখ তুলে তাদের চিৎকার করতে দেখা যায়। সেই থেকে এই সময়কার চাঁদের নাম অনেক ক্ষেত্রে ‘উল্ফ মুন’ বলা হয়। আর চাঁদের রঙ লাল দেখা যাবে বলে যুক্ত হয়েছে ‘রেড’। এইসব কিছু মিলিয়ে বললে দাঁড়ায় ‘সুপার ব্ল্যাড উল্ফ মুন’।
আরেকটি যে প্রশ্ন চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে নিয়মিত ওঠে সেটি হলো এর দিকে সরাসরি তাকানো নিরাপদ কিনা। খুব উজ্জ্বল আলোর কারণে সূর্যগ্রহণের দিকে সরাসরি তাকানো ক্ষতিকর হতে পারে। তবে চন্দ্রগ্রহণের আলো অনেক মোলায়েম হয়ে থাকে। তাই বাড়তি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়াই এটি দেখা একদম নিরাপদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর