× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কবিরহাটে গণধর্ষণ /ধর্ষিতার তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার

কবিরহাটে বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনসহ ধর্ষিতার ৩ আত্মীয়ের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন কবিরহাট থানা পুলিশ। আজ  চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানির ধার্য তারিখ। ভিকটিমের আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন জহিরের সাঙ্গপাঙ্গদের বাঁচাতে পুলিশ মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতে নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের স্ত্রী (৩২)কে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ও ধর্ষিতার দেবর হারুন, মামা শ্বশুর আবদুর রব হোসেন মান্নান ও ননদের স্বামী সেলিমকে গতকাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কবিরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর ট্রমাস বড়ুয়া ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। আদালত রিমান্ড শুনানির আদেশ দিয়ে এ ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা (৩২) জানান, পুলিশ ঘটনার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করে বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে আমার দেবর হারুন ও আমার মামা শ্বশুর মান্নান, নন্দাইয়া সেলিমকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের দোষ স্বীকার করার চাপ দিচ্ছে। এ সময় তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৩ পুলিশের সামনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, তার নির্যাতনের কথা এবং পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত দয়া করে তার স্বামীকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।

এখন সামনেই প্রভাবশালীরা হুমকি দিচ্ছে এ মামলা চালালে আমার স্বামীকে আবার মামলায় জড়ানো হবে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাসান জানান, ঘটনার মূল নায়ক মো. জাকের হোসেন প্রকাশ জাহিরের থানায় ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির সূত্র ধরেই আবদু রব হোসেন ওরফে মান্নান, সেলিম ও হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর টমাস বড়ুয়া আবেদন করলে আদালত মঙ্গলবার রিমান্ডের আবেদনের শুনানির আদেশ দিয়েছেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যা জানান, ধর্ষিতার ‘সোয়াপ’ আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে তার রিপোর্ট গতকালও পাওয়া যায়নি। তবে ভিকটিমের চিকিৎসার কোনো কার্পণ্য করা হচ্ছে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর