× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১১ হাসপাতালে দুদকের অভিযান /৪০ শতাংশ চিকিৎসক অনুপস্থিত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসকরা রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। হাসপাতালে উপস্থিত না থেকে সময় দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে শিকার হচ্ছেন ভোগান্তির। দেশের আট জেলার ১১টি হাসপাতালে গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অ্যানফোর্সমেন্ট টিমের আকস্মিক অভিযানে এমন অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ১১টি হাসপাতালে গড়ে ৪০ ভাগ চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন।

আট জেলার ১১ হাসপাতাল হলো-ঢাকার তিনটি কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতাল, মা ও শিশু সদন ও মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিনাজপুর সদর হাসপাতাল, কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পাবনার সদর জেনারেল হাসপাতাল ও আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুদক জানায়, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী হয়রানির শিকার ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) আসা এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালগুলোতে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক অ্যানফোর্সমেন্ট টিম।
সরজমিনে দেখা যায়, আট জেলার ১০ হাসপাতালে মোট রোস্টার ডিউটি বণ্টনকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা ২৩০ জন থাকলেও কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত পাওয়া যায় ৯২ জন চিকিৎসককে, যা মোট চিকিৎসকের ৪০ শতাংশ।

এর মধ্যে মুগদা হাসপাতাল বাদে ঢাকার দুই হাসপাতালের ৯৯ জন ডাক্তারের মধ্যে ১১ জন অনুপস্থিত ছিল। ঢাকার বাইরের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এ চিত্র আরো ভয়াবহ। ঢাকার বাইরের সাত জেলার মোট হাসপাতালে রোস্টার ডিউটি বণ্টনকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা ১৩১ জন থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন ৮১ জন। এক্ষেত্রে অনুপস্থিতির হার মোট চিকিৎসকের প্রায় ৬১.৮ শতাংশ। তবে অভিযানকালে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সকল ডাক্তার উপস্থিত পাওয়া যায়। এদিকে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে অভিযানকালে জরুরি বিভাগের এক কর্মচারী মো. আবু মুসা ভূঞা (স্ট্রেচার বিয়ারার) দায়িত্বরত অবস্থায় রোগীর স্বজনদের নিকট হতে ঘুষ গ্রহণকালে দুদক টিমের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন। দুদক টিমের সুপারিশক্রমে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরে এ অবক্ষয় অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবসেবার চেতনা না থাকলে চিকিৎসা সেবা পরিত্যাগ করা উচিত। তবে দায়িত্ব অবহেলার ক্ষেত্রে দুদক কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সারা দেশে স্বাস্থ্য সেক্টরে দুদকের নজরদারি থাকবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর