× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের কারাগারে এত্ত বিদেশী!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জানুয়ারি ২২, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

ভারতের কারাগারগুলো উপচে পড়ছে বন্দিতে। এই গাদাগাদির সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশী ৩৯০৮ জন বন্দি। এর মধ্যে বাংলাদেশী ছাড়াও রয়েছে পাকিস্তানি, নাইজেরিয়ান ও নেপালের নাগরিক। এর মধ্যে বিচারাধীন রয়েছে ১৬৭৪ জন। অভিযুক্ত করা হয়েছে ১৩৭৭ জনকে। বাকি ৮৭১ জনের পরিচয় তার দেশ থেকে নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব বন্দির মধ্যে মাত্র ২২২ জন তাদের দেশের কনসুলার সুবিধা পেয়েছে। এমন অবস্থায় তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারে।
ফরেনার্স অ্যাক্ট, ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট এবং পাসপোর্ট অ্যাক্টের অধীনে আনা হয়েছে মূল অভিযোগগুলো। আর তা হলো মাদক পাচার।
বন্দিদের মুক্তি দেয়ার কাজটি অনেক জটিল একটি প্রক্রিয়া। তাদেরকে মুক্তি দেয়ার কাজটি শুরু হয় রাজ্য থেকে। এ বিষয়টি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন দীর্ঘ এক প্রক্রিয়া। এর প্রথম পদক্ষেপেই বন্দিকে সনাক্ত করা হয়। তারপর রাজ্য সরকার থেকে বন্দিকে সনাক্তকরণ করতে হয়। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ডেস্ককে জানাতে হয়। সেখান থেকে ওই ঘটনাটি যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কয়েক বছর না হোক, কয়েক মাস লেগে যায়। যখন এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় তখন সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন বা দূতাবাসকে জানানো হয়।
এক্ষেত্রে যদি সেটা হয় পাকিস্তানি হাই কমিশন তাহলে তারা বন্দিদের ফেরত নিতে অনীহা জানায়। বিশেষ করে যদি বন্দির বিরুদ্ধে ভারতে সন্ত্রাসে জড়িত থাকার মতো কোনো বিষয় থাকে তাহলে তো কথাই নেই। এমন অবস্থায় দেশগুলো তাদের নিজের দেশের নাগরিকদের সনাক্ত করতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করে না। সনাক্তকরণ প্রক্রিয়াও কম জটিল নয়। একজন বন্দিকে কনসুলার সুবিধা দেয়া হয় যাতে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
(অনলাইন ডিএনএ’র সম্পাদকীয় থেকে)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর