কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌরসভার সুবজবাগ আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণের ১৮ ঘন্টা পর আড়াই বছর বয়সি এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মাতামুহুরীর ব্রীজের দক্ষিণ পাশের সবজি ক্ষেত থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে। পুরো কক্সবাজার জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুন্নী আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃত মুন্নি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী খোন্দকার পাড়ার খলিলুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ২ বছর ৬ মাস বয়সী শিশুর নাম মো. আল ওয়াসী।
সে চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকার ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন ও রুনা আক্তারের পুত্র।
শিশু ওয়াসীর পিতা সাহাব উদ্দিন বলেন, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ওয়াসী ও তাঁর চার বছর বয়সী বড় বোন বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। এসময় বোরকা পরিচিত এক মহিলা ওয়াসীর হাতে একটি চিপসের প্যাকেট দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির পর স্থানীয়দের সূত্রে জানতে পারি এক মহিলা ওয়াসীকে নিয়ে গেছে। পরে বিষয়টি চকরিয়া থানার ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে শিশু অপহরণের ঘটনাটি অবহিত করি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশু ওয়াসীকে অপহরণের কয়েক ঘন্টা পর ভুক্তভোগীদের বর্ণনা অনুযায়ী মুন্নী আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে সকালে মাতামুুহুরীর ব্রিজ এলাকা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বখতিয়ার বলেন, ওই নারীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।