× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শোক

বিনোদন


২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

সাবিনা ইয়াসমিন: বুলবুলকে আমরা মূল্যায়ন করতে পারিনি। এমন একজন ট্যালেন্টেড গীতিকার-সুরকার ও সংগীতপরিচালকে আমরা হারিয়েছি যার শূন্যতা কখনো পূরণের নয়। তার সঙ্গে  আমার ৭৮ সাল থেকে পরিচয়। তার সুরে প্রায় ২৫-২৬টি দেশের গান করেছি। তার মৃত্যুর সংবাদটা শুনেই অনেক কষ্ট পেয়েছি।

রুনা লায়লা: বুলবুলের সুর সংগীতে আমার প্রথম গান ছিল ‘ও বন্ধুরে প্রাণও বন্ধুরে, কবে যাবো তোমার বাড়ি পিন্দিয়া গোলাপী শাড়ি’ গানটি। প্রথম গানটিই সেই সময় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো। এরপর আরো অনেক গান গেয়েছি বুলবুলের সুর সংগীতে। যেহেতু বুলবুল নিজেই গান লিখতো।
তাই তার প্রতিটি গানের সুর সংগীতায়োজন একটু অন্যরকমই হতো। যা শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যেতো। বুলবুুল তার নিজের সুরে আমার একটি অ্যালবামও করেছিল। তার এই অকালে চলে যাওয়ায় আমাদের সংগীতাঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি বুলবুলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

শহীদুল্লাহ ফরায়জী: সংগীতের সব মাধ্যমেই তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। সফল একজন সংগীত ব্যক্তিত্ব তিনি। সত্যি বলতে, আমি তাকে দেশের গানের আইকন মনে করি। বাংলা সংগীত ও বাঙালি যতদিন থাকবে তিনিও ততদিন থাকবেন। গতকাল সকালে জ্বর নিয়ে তার বাসায় ছুটে গিয়েছি মৃত্যুর সংবাদ শুনে। তার চলে যাওয়াতে সংগীতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।

ফকির আলমগীর: একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন বুলবুল। অনেক অল্প বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন দেশের প্রতি তার ভালোবাসা কত গভীর। বয়সে আমার ছোট ছিল। কিন্তু একসঙ্গে বেশকিছু কাজ করেছি। রাষ্ট্র ও সংগীত দু’টোতেই ক্ষতি হলো তার চলে যাওয়াতে।

এন্ড্রু কিশোর: গেলো ডিসেম্বরে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিলো আমার। বেশকিছু নতুন কাজের পরিকল্পনা ছিলো আমাদের। কিন্তু সেসব আর বাস্তবায়ন হলো না। তার সঙ্গে আমি এতো কাজ করেছি, এতো সুন্দর পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো আমাদের যে আমি ভাবতেই পারছি না তিনি নেই। তার শুন্যতা আর কোনোদিন কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি ঈশ্বর তার আত্মাকে শান্তি দিক।

সামিনা চৌধুরী: আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাকে নিয়ে বলতে। একজন মানুষ একাধারে কত গুণের অধিকারী হয় তার উদাহরণ বুলবুল। আমাদের সংগীতে তিনি যা দিয়েছেন, সেই সুর সেই গান কখনো হারাবার নয়।

কুমার বিশ্বজিৎ: তুই সম্পর্ক ছিল আমার সঙ্গে তার। তবে আমি তাকে অভিভাবক মনে করতাম। পারিবারিকভাবে আমাদের একসঙ্গে অনেক সময় কাটতো। আশির দশক থেকে আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু হয়েছে।  তার চলে যাওয়াতে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে বলে আমি মনে করি। এমন একজন সুরস্রষ্ট্রার জন্ম সব সময় হয় না।

আবিদা সুলতানা: একটা একটা করে তারা খসে পড়ছে আকাশ থেকে। শুধু তাকিয়ে দেখছি। থেকে গেল শুধু তার সঙ্গে কাটানো কত সময়, কত স্মৃতি, কত গান। গতকালের সকালটা তার মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে শুরু হয়। তাকে নিয়ে বলার মতো ভাষা পাচ্ছি না। কোন বিষয়টি বাদ দিয়ে কোনটি বলবো। অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন তিনি।

রবি চৌধুরী: শেষবারের মতো বুলবুল ভাইয়ের বাসায় আমার যাওয়া হলো না। নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এভাবে চলে যাবেন তিনি আমি সত্যি ভাবিনি। বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে যারা মিশেছেন তারা জানেন তিনি কতটা উদার মনের মানুষ ছিলেন।

মনির খান: আমি খুব কাছ থেকে বুলবুল ভাইকে দেখেছি। আমার জীবনের সেরা অর্জন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি তার গানে। এই দেশের মানুষ ইচ্ছে করলেই বুলবুল ভাইয়ের নাম মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ, তিনি আমাদের সংগীতের বিশাল পরিধি। আমি তার অত্মার শান্তি কামনা করছি।

শওকত আলী ইমন: আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ছিলেন আমার গুরু, আমার শিক্ষক। আমার সব ভালো কাজের উৎসাহ প্রদানকারী বটবৃক্ষ। তিনি এ দেশের জন্য যা দিয়ে গেছেন তার শেষ হবে না। যতদিন এ জাতি বেঁচে থাকবে তার  নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে সবার হৃদয়ে।   

ইথুন বাবু: বুলবুল ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে গতকালের সকালটা শুরু হলো এটি আমার জন্য অনেক কষ্টের। তিনি আমাদের জন্য বটবৃক্ষের মতো ছিলেন। আজ আমরা আমাদের ছায়া হারিয়ে ফেলেছি। তবে তার সৃষ্টি অমর হয়ে থাকবে সংগীতে।

সালমা: তিনি আমাকে অনেক আদর করতেন। আমি যখন ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় আসি তখন থেকে তার ভালোবাসা পাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাকে সব সময় তিনি সাহস দিতেন। আমার কোনো সমস্যা হলে তিনি ধৈর্য ধরার জন্য বলতেন। আমার অনেক কান্না পাচ্ছে। আমার খারাপ সময়ে তার মতো কাউকে আর পাব না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর