পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে গণতন্ত্র বাঁচাও রথযাত্রা করতে দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে এবার গণতন্ত্র বাঁচাও সভা করে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মঙ্গলবার মালদহে এক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আর ব্রিগেডে বিরোধীদের মহাসমাবেশ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে চান। কিন্তু ব্রিগেডের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন, যাঁর মধ্যে ৯ জনই প্রধানমন্ত্রী হতে চান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লাইন পড়ে গিয়েছে। নিজের স্বার্থের জন্য বিরোধীরা দেশে মজবুর সরকার গড়তে চায় যাতে দুর্নীতি চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দেশকে মজবুর নয়, মজবুত সরকার দিতে পারে একমাত্র একজন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তার নেতৃত্বেই এনডিএ প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিগেডের মহাসমাবেশ থেকে বিরোধী শিবিরের হেভিওয়েট নেতারা ‘মোদী হটাও’ স্লোাগান তুলে গণতন্ত্র এবং দেশ রক্ষার্থে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। আর এই পরিবর্তনকেই মঙ্গলবার মালদহের মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অমিত শাহ বলেছেন, গুজরাত থেকে অসম, বাংলা থেকে কন্যাকুমারি, সর্বত্রই মোদী ধ্বনি শুনতে পাবে সকলে। তার ঘোষণা, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দিলে এখানে সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হবে না। গতবছর মেদিনীপুরের কলেজিয়েট মাঠে এই সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এবার এই ইস্যুতে সুর চড়িয়ে অমিত শাহ বলেছেন, গুজরাতে সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগে না। ১৬ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায়, কোথাও সিন্ডিকেট ট্যাক্স নেই। অথচ এখানে সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হয়। ভেবে দেখুন কোথায় যাচ্ছে টাকা। মমতার লোকেরাই অর্ধেক খেয়ে নেয়। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দিলে এখানেও সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হবে না। বিজেপি সভাপতি রীতিমত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, দেশজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, অথচ বিরোধী নেতারা খুন হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। তবে বিজেপি যে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এর জবাব দেবার জন্য তৈরি সেকথাও এদিন জানিয়ে দিযেছেন বিজেপি সভাপতি। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। মঙ্গলবার মালদহে অমিত শাহর সভা শেষ হওয়ার পরে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিয়োয় দলের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ডেরেক বলেছেন, আর বেশিদিন নেই ওদের। তাই মরিয়া হয়ে উঠেছে।