রামগতিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভয়াবহ জলিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই সহকারী শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন আলেকজান্ডার মডেল সপ্রাবি প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার ও চর ডাক্তার সপ্রাবি প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন। পরীক্ষার বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের নিরীক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন পশ্চিম চর আলেকজান্ডার সপ্রাবি’র সহকারী শিক্ষক সেলিনা আক্তার ও চরডাক্তার সপ্রাবির সহকারী শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ। তারা পরীক্ষার পর উত্তর পত্র শিক্ষা অফিসে না নিয়ে আলেকজান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখানে তারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী কিছু ছাত্রের উত্তরপত্রে নম্বর কম-বেশি দেন। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন রামগতি বালিকা সপ্রাবি শিক্ষক মো. বেলাল হোসেন। আরো জানা যায়, বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসার পর তিনি জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা এডিপিইও মাহবুবুর রহমানকে।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, তদন্তকালে উত্তরপত্র পর্যবেক্ষণ করে উত্তরপত্রে জালিয়াতির সত্যতা পান। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, তদন্তে প্রমাণিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বিষয়টি ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, এ বিষয়টি আমার এখতিয়ারভুক্ত নয় তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত ২ সহকারী শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞজনরা, যে দুই প্রধান শিক্ষক উত্তরপত্র জালিয়াতির মূল হোতা তাদের শাস্তি না হওয়ায় তারা চরম হাতাশা ব্যক্ত করেন।