বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে এক প্রকার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দ্বন্দ্ব বাধে একই সময়ে প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল এবং জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন নিয়ে। তবে দেশের শীর্ষ দুই ফেডারেশনের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের দাবি প্রায় মাস খানেক আগেই তারা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়েই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নিয়েই লীগের সূচি তৈরি করে বাফুফে। এনিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। লীগের সূচি অনুযায়ী ওইদিনই বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচ।
পরের দিন একই ভেন্যুতে একই সময়ে ব্রাদার্স ও শেখ রাসেল মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। দু’পক্ষই স্টেডিয়াম ব্যবহারে অনড় থাকে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। সেখানে উভয় পক্ষই নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এ বিষয়ে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেন,‘যদিও প্রথমে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু আমরা তো একই পতাকার নিচের ভাতৃপ্রতীম দুই ফেডারেশন। তাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমঝোতা করে নিয়েছি। যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো বক্তব্য পাইনি। তবে মৌখিকভাবে বাফুফে আমাদের জানিয়েছে তারা আমাদের প্রতিযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেবেন। সম্ভবত তারা ম্যাচগুলো রিশিডিউল করবেন।’ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন আগে জানানোর পরও কেন এমন সংকট তৈরি হলো, সে বিষয়ে সদুত্তর মেলেনি বাফুফের পক্ষ থেকে। তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন নির্ধারিত দিনেই ম্যাচ আয়োজন করা হবে। এ প্রসঙ্গে সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এএফসির নির্দেশনা অনুযায়ী ম্যাচ বডিলি শিফট করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ম্যাচগুলো হয়তো দু’এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে পারি।’
আগামীকাল শুরু জাতীয় অ্যাথলেটিক্স
গত ডিসেম্বরে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়। ঘোষিত সূচি অনুযায়ী আগামী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতার ৪২তম আসর। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ৮ বিভাগ, ৬৪ জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি ও সার্ভিসেস দল থেকে প্রায় ৫০০ জন অ্যাথলেট অংশ নেবেন। ৩৬টি ইভেন্টের মধ্যে ছেলেদের ২২টি, আর ১৪টি মেয়েদের। প্রতিযোগিতার ফল নির্ধারণ হবে ইলেক্ট্রনিক্স টাইমিংয়ে।
এবারের আসরে রেকর্ড গড়তে যাওয়া অ্যাথলেটদের আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘জাতীয় অ্যাথলেটিকসে যারা রেকর্ড গড়বেন তাদের আর্থিক পুরস্কার দেয়া হবে। এ ছাড়া এই ইভেন্টটি আকর্ষণীয় করার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি। আাশা করছি এই আসরের মাধ্যমে নতুন অ্যাথলেট বের হয়ে আসবে। তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে পারবো।’