× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৃক্ষমানবের চিকিৎসায় ফের মেডিকেল বোর্ড

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

বিরল রোগে আক্রান্ত ‘বৃক্ষমানব’ আবুল বাজানদারের চিকিৎসায় ফের নতুন করে নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামকে প্রধান করে এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর আগে সোমবার আবুল বাজানদার পুনরায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন। চিকিৎসারত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার প্রায় আট মাস পর চলতি বছরের ২০শে জানুয়ারি তিনি ঢামেক হাসপাতালে ফিরে আসেন। ২১শে জানুয়ারি নতুন করে ভর্তি হন। এ বিষয়ে আবুল বাজানদার মানবজমিনকে বলেন, আমার হাত-পায়ে অস্বাভাবিকভাবে পুনরায় শেকড়গুলো বেড়ে গেছে। একইসঙ্গে শরীরের যন্ত্রণাও বেড়েছে। অবশেষে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তারদের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করে নতুন করে চিকিৎসা নিতে এসেছি।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ৬ষ্ঠ তলায় সিঁড়ির কাছে অবস্থান করছি। সঙ্গে আমার মা আছেন। এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ার্ডে সিট বা কেবিন পাইনি। এর আগে আবুল বাজানদার ও তার পরিবারের একজন সদস্যকে হাসপাতাল থেকে খাবার দেয়া হতো। এবার তা দেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র আমাকে খাবার দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত মায়ের জন্য কোনো খাবার দেয়নি। যারা খাবার সরবরাহ করেন তারা বলেছেন  চিকিৎসকরা না বলা পর্যন্ত মায়ের জন্য খাবারের ব্যবস্থা হবে না। তাই আপাদত মাকে খাবার কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক ডা. আবুল কালাম জানান, বাজানদার তার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। সে আবার আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে এসেছে বিষয়টি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। তাকে নিয়মিত ডাক্তারদের ফলোআপে থাকতে হবে। তা না হলে পূর্বের অবস্থানে চলে যাবে। তাই বাজানদারের চিকিৎসার জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিদেশে বাজানদারের উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের বাইরে এরচেয়ে উন্নত চিকিৎসা আমার জানা মতে নেই। বাজানদার হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বৃক্ষমানব। বাকি যে দু’জন বৃক্ষমানবকে অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় চিকিৎসা করানো হয়েছে তারা তো মারা গেছে চিকিৎসা শেষ করার আগেই। উন্নত চিকিৎসা বলতে যেটা আমেরিকা অথবা অস্ট্রেলিয়াতে হতো সেটাই আমরা করছি। উল্লেখ্য, চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৬শে মে কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢামেক হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান আবুল বাজানদার। তার দুই হাত ও পায়ে গাছের শেকড়ের মতো শক্ত অতিরিক্ত অংশ আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর