× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুবিধা আরো বাড়লো

এক্সক্লুসিভ

দীন ইসলাম
২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুবিধা আরো বাড়িয়েছে সরকার। তবে এটা ব্যক্তিগত নয়, অফিসিয়াল। বেতন ভাতা, সার্বক্ষণিক গাড়ি সুবিধা ও টেলিফোন বিল বেতনের সঙ্গে সমন্বয়ের সুবিধার পর সরকারি যানবাহনে কতটুকু জ্বালানি পাবেন তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এতদিন প্রাপ্যতা কম থাকায় বিভিন্ন খাত থেকে সংগ্রহের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের খরচ মেটাতেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গেল ডিসেম্বরের শেষদিকে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-দের সরকারি যানবাহনে জ্বালানি তেলের প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে কর্মরত মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ সিলিং না মানার অভিযোগ উঠেছে। ওই সব কর্মকর্তারা ঢাকাতে বসবাসের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা এখন থেকে সরকারি গাড়িতে সর্বোচ্চ ২৫০ লিটার পেট্রোল বা অকটেন বা সর্বোচ্চ ৩৫৮ ঘনমিটার সিএনজি পাবেন।
১৯শে ডিসেম্বর জারি করা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সরকারি যানবাহনে জ্বালানি তেল বা সিএনজি’র প্রাপ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের সর্বোচ্চ ২৫০ লিটার পেট্রোল বা অকটেন বা সর্বোচ্চ ৩৫৮ ঘনমিটার সিএনজি বরাদ্দ করা হলো। এ ছাড়া সিএনজিচালিত যানে রূপান্তরিত ইঞ্জিন সচল রাখার স্বার্থে এর আগে ইঞ্জিন স্টার্টের তেলের বরাদ্দ অপরিবর্তিত থাকবে। এতে অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সরকারি যানবাহনে জ্বালানি তেল বা সিএনজি’র প্রাপ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ব্যবহার করা সরকারি যানবাহনে জ্বালানি তেল বা সিএনজি যেকোনো একটি ব্যবহার করা যাবে। যেসব উপজেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ১০ বা এর কম, সেসব উপজেলার জন্য জ্বালানি তেলের বরাদ্দ ১৮০ লিটারের বদলে সর্বোচ্চ ২১০ লিটার পেট্রোল বা অকটেন বা সর্বোচ্চ ৩০০ ঘনমিটার সিএনজি করা হলো। এ ছাড়া যেসব উপজেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ১১ থেকে ১৫ পর্যন্ত, সেসব উপজেলার জন্য জ্বালানি তেলের বরাদ্দ ১৮০ লিটারের বদলে সর্বোচ্চ ২৩০ লিটার পেট্রোল বা অকটেন বা সর্বোচ্চ ৩২৮ ঘনমিটার সিএনজি করা হলো। একই সঙ্গে ১৬ থেকে বেশি ইউনিয়নবিশিষ্ট উপজেলার জ্বালানি তেলের বরাদ্দ ১৮০ লিটারের বদলে সর্বোচ্চ ২৫০ লিটার পেট্রোল বা অকটেন বা সর্বোচ্চ ৩৫৮ ঘনমিটার সিএনজি করা হলো। তবে সিএনজিচালিত যানে রূপান্তরিত ইঞ্জিন সচল রাখার স্বার্থে এর আগে ইঞ্জিন স্টার্টের তেলের বরাদ্দ অপরিবর্তিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরকারি যানবাহনে জ্বালানি তেল বা সিএনজি’র প্রাপ্যতা বাড়ার কারণে ঢাকার আশেপাশের কর্মকর্তারা স্টেশনে থাকছেন না। তারা অফিস সময় শেষে বাসায় ফিরে আসছেন। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর