× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে শ্বশুরকে হত্যা, জামাতা আটক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার

নারায়ণগঞ্জে পারিবারিক বিরোধে শ্বশুরকে খুন করে পালানোর সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছে জামাতা। এসময় এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে ঘাতক জামাতা আলমগীর হোসেনকে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় রনি মিয়ার বাড়িতে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ আটককৃত আলমগীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। নিহত ওহাব মিয়া (৬০) কিশোরগঞ্জ জেলার বাইজিদপুর এলাকার আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে। সে এক ছেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ সপরিবারে রনি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নিহতের বড় মেয়ে রোকসানা বেগম জানান, তার ছোট বোন শাহানাজ বেগমকে সাত মাস পূর্বে ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার সাত্তার গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ের সময় দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয় আলমগীরকে। তিনি আরো জানান, বিয়ের পর থেকে আলমগীর হোসেন যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় শাহানাজকে মারধর করতো। কয়েকদিন আগে মারধর করে শাহানাজকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় আলমগীর। এরপর থেকে শাহানাজ বাবার বাড়িতে রয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের আলীগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে এসে আলমগীর যৌতুকের টাকা দাবি করে তর্কে জড়িয়ে আমার বাবার পেটে ছুরিকাঘাত করে। এক পর্যায়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী আলমগীরকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে শহরের ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, পারিবারিক বিরোধে জামাতা শ্বশুরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। জামাতাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর